ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘শেষ হইয়াও হইলো না শেষ’

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

‘শেষ হইয়াও হইলো না শেষ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির ‘শেষ হইয়াও হইলো না শেষ’ অবস্থা দাঁড়িয়েছে। গত আগস্টে একদিনে সারাদেশে ২ হাজার ৪ শ’ জনের বেশি লোক ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়। গত ১২ আগস্ট ঈদের পর থেকে এটা ধারাবহিকভাবে কমে আসছে। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাস শেষ হতে চলল কিন্তু ডেঙ্গু আক্রান্তের হাত থেকে এখনও পুরোপুরি রেহাই মিলছে না। একদিন কমছে তো আরেকদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। সোমবার দেশে ৪ শ’ ৬১ এই জ্বরে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের হেলথ ইমার্জেন্সি অপরারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম। তারা জানিয়েছে, দেশজুড়ে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব অনেকটা কমে এলেও মশাবাহিত এই জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার এই সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি। সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের হাসপাতালগুলোতে ৪৬১ নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যা আগের দিন ছিল ৪৩০ জন। মৃত্যুর সংখ্যাও আগের দিনের সাতটি বেড়ে ৭৫ হয়েছে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ২২৪টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১২৬টি মৃত্যুর তথ্য পর্যালোচনা করে ৭৫টি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত কারণে বলে নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর। এদিকে তারা জানায় ৪৬১ জন নতুন রোগীর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ১৪৩ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৩১৮ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত ২১ জুলাই ডেঙ্গুরোগীর রোগীর সংখ্যা চার শ’ ছাড়িয়েছিল। সেদিন ৪২১ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশনস এ্যান্ড কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, এখন অবধি সারা দেশে ৮৫ হাজার ২৮৮ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৬৭ জন রোগী। এখন পর্যন্ত ৯৭ ভাগ রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া এখন সারা দেশের সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রয়েছেন ২ হাজার ১৮ জন ডেঙ্গু রোগী; যাদের মধ্যে ঢাকায় রয়েছেন ৮৬১ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি রয়েছেন ১ হাজার ১৫৭ জন রোগী। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি খুলনা বিভাগে। ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে ১২১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
×