ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভুল করলে শত্রুর উপর পাল্টা আঘাত হানা হবে॥ ইরান

প্রকাশিত: ০০:১৯, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ভুল করলে শত্রুর উপর পাল্টা আঘাত হানা হবে॥ ইরান

অনলাইন ডেস্ক ॥ ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, তার দেশের সশস্ত্র বাহিনী শত্রুর যেকোনো ভুল হিসাবনিকাশের কঠোর ও দাঁতভাঙা জবাব দেবে। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা সপ্তাহ পালন উপলক্ষে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি। তিনি বলেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। শত্রুর গতিবিধির ওপর এই নজিরবিহীন পর্যবেক্ষণের কারণে যেকোনো মুহূর্তে শত্রু কোনো কাপুরুষতা দেখানোর চেষ্টা করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে পাল্টা আঘাত হানা হবে বলে তিনি সতর্ক করে দেন। ১৯৮০ সালে ইরানের ওপর ইরাকের তৎকালীন বাথ সরকারের চাপিয়ে দেয়া আট বছরের যুদ্ধকে ইরানে ‘পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধ’ বলা হয়। এই যুদ্ধ শুরুর বার্ষিকীতে ইরানে ‘পবিত্র প্রতিরক্ষা’ সপ্তাহ পালন করা হয়। ১৯৮০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইরাকের তৎকালীন সাদ্দাম সরকার বিনা কারণে ইরানের ওপর আগ্রাসন শুরু করেছিল। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধের সময় আত্মরক্ষার্থে তার দেশ যে কঠিন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে তা ব্যবহার করেই বর্তমানে সামরিক দিক দিয়ে তেহরান অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। ইরানে আগ্রাসন চালিয়ে তৎকালীন ইরাকি শাসক সাদ্দাম ঘোষণা করেছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি ইরানের রাজধানী তেহরানে বসে চা পান করবেন। ইরানে তার এক বছর আগে ইসলামি বিপ্লব হয়েছিল বলে সাদ্দাম সরকারের ধারনা ছিল, ইরানের সদ্য প্রতিষ্ঠিত ইসলামি সরকার ইরাকের মতো সুসজ্জিত একটি সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবে ইরাকি বাহিনী পাশ্চাত্য ও আরব দেশগুলোর সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া সত্ত্বেও ইরানকে পরাজিত করতে বা ইরানের এক ইঞ্চি ভূমিও জবরদখল করে রাখতে পারেনি এবং ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে ওই যুদ্ধ শেষ হয়।
×