ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নাঈম খান

হতে পারেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 হতে পারেন  কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার

বর্তমান সময়ে ক্যারিয়ার নির্ভর পড়াশোনা ছাড়া চাকরির বাজারে ভাল করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা এইচএসসির পর কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। সরকারী ও বেসরকারী ইউনিভার্সিটিতে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ১৯৯৬ সালে চালু হয়। সম্প্রতি এই ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (আইইবি) সদস্যপদ লাভ করেছে। ফলে এখন থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। বর্তমানে এ বিভাগে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। পাস করেছেন প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী। পাসকৃত এসব শিক্ষার্থী দেশ ও বিদেশের নামী-দামী বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মে নিয়োজিত রয়েছেন। এখানে রয়েছে মানসম্পন্ন অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি এবং মাল্টিমিডিয়া সুবিধাসহ সুসজ্জিত ক্লাসরুম। এ বিভাগের অধীনে রয়েছে আটটি সু-বৃহৎ কম্পিউটার ল্যাবরেটরি। ল্যাবরেটরিতে রয়েছে প্রায় ৩০০টি অত্যাধুনিক কম্পিউটার। রয়েছে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ও ফ্রি ওয়াইফাই সার্ভিস। এ বিভাগের অধীনে তিনটি কোর্স পরিচালনা করা হয়। কোর্সগুলো হলো- বিএসসি ইন সিএসই (দিবা/সান্ধ্যকালীন), এমএসসি ইন সিএসই এবং মাস্টার্স অব কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন (এমসিএ)। এ ছাড়া ৪টি শর্ট সার্টিফিকেট কোর্স পরিচালনা করা হয়। কোর্সগুলো হলো- ওয়েব ডিজাইন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, এ্যানড্রয়েড, নেটওয়ার্কিং এবং ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট। উপদেষ্টা হিসেবে এই বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. হাফিজ মোঃ হাসান বাবু। তিনি বলেন, অন্যান্য ইউনিভার্সিটির তুলনায় এখানে টিউশন ফি অনেক কম। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা এখানে লেখাপড়া করতে পারে। তবে লেখাপড়ার মান উন্নত। কোয়ালিটির ব্যাপারে ছাড় দেয়া হয় না। তাই এখানকার শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে গবেষণায় এবং তাদের কর্মস্থলে সফলতা দেখাতে পারে। এ বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. এ টি এম মাহবুবুর রহমান সরকার বলেন, এ ইউনিভার্সিটি থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীরা বিদেশে উচ্চতর শিক্ষা নিচ্ছেন এবং দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সফটওয়্যার ফার্ম, নের্টওয়াকিং ফার্মসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত রয়েছেন। এখানে অধ্যয়ন করলে সুবিশাল ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, বাস্তবভিত্তিক পড়ালেখার পদ্ধতি এবং সর্বোপরি পাস করে চাকরির নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। কথা হয় কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মো. ফাহিম ফয়সাল হিমেলের সঙ্গে। ঢাকা ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র, শিক্ষক এবং সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীর মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। শিক্ষকরা বন্ধুসুলভ এবং ক্লাসের বাইরে ছাত্রদের যথেষ্ট সময় দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া পড়ালেখা ও চাকরি ইত্যাদি বিষয়ে সব সময় সিনিয়র সেমিস্টারের ছাত্রদের কাছে সহায়তা পেয়ে থাকি আমরা। এখানকার সব শিক্ষার্থীদের ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখানে রয়েছে ৩টি সুসজ্জিত সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, ইন্টারনেট ও অত্যাধুনিক মানসম্পন্ন ৩১টি ল্যাবরেটরি সুবিধা। ছাত্রছাত্রীদের আবাসিক সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাছেই রয়েছে ৭টি হোস্টেল। এ ছাড়া রয়েছে হিউম্যান রাইটস এ্যাডভোকেসি সেল, সোস্যাল বিজনেস একাডেমিক সেল, ডিবেটিং ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, পরিবহন সুবিধা, স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০-এর আইন অনুযায়ী, দরিদ্র, মেধাবী ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বৃত্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তদের বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। যোগাযোগ: বাড়ি-০৪, সড়ক-০১, ব্লক-এফ, বনানী, ঢাকা-১২১৩। মোবাইলঃ ০১৯৩৯৮৫১০৬১। Website: ww w.diu.ac
×