ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলল বেজিং সমর্থকরা

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলল বেজিং সমর্থকরা

বেজিং সমর্থকরা হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ফলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। হংকংজুড়ে গণতন্ত্রীপন্থীদের সরকারবিরোধী বিক্ষোভের বার্তা সম্বলিত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে বেজিংপন্থীরা। গণতন্ত্রের আহ্বান সম্বলিত পোস্টার শনিবার সকালে ছিঁড়তে শুরু করে বেজিংয়ের সমর্থকরা। এসব পোস্টার পুরো শহরজুড়ে, বাসস্টেশনে, বিপণিবিতানে, পদচারী সেতুর নিচে ও ফুটপাথে লাগানো হয়েছিল। এদিকে এ্যামনেস্টি হংকং পুলিশের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং বিক্ষোভকারীদের নির্যাতনের যে অভিযোগ এনেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। ওয়েবসাইট। তিন মাস আগে এক বিতর্কিত বিল নিয়ে ফুঁসে ওঠে হংকংয়ের জনগণ। বিলটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে তারা। একপর্যায়ে বিলটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় হংকং সরকার। কিন্তু ক্রমেই বিক্ষোভকারীদের দাবি বাড়তে থাকে। এখন বিক্ষোভকারীরা গণতন্ত্রের জন্য বিক্ষোভ করছে। বিক্ষোভের কট্টর সমালোচক, হংকংয়ের বেজিংপন্থী আইনপ্রণেতা জুনিয়াস হো তার সমর্থকদের শনিবার কমপক্ষে ১০০ ‘লেনন দেয়াল’ পরিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন। কমিউনিস্ট নিয়ন্ত্রিত এই দেয়ালগুলো ১৯৮০’র দশকে জন লেননের নামে নামকরণ করা হয় লেনন ওয়াল। হো তার ফেসবুক পেজে শুক্রবার রাতে লেখেন, নিরাপত্তার কারণে লেনন দেয়াল মুছে ফেলা যাবে না, শুধু সড়ক থেকে পোস্টার সরিয়ে ফেলা হবে। তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিকভাবে’ আমরা আশপাশ পরিষ্কার করব। এদিকে গণতন্ত্রপন্থী আরও বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছেন বিক্ষোভকারীরা। হংকংয়ের শহরের উপকণ্ঠে ইয়েন লং সাবওয়ে স্টেশনে অবস্থান নেয়ার কথা রয়েছে তাদের। বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে প্রহৃত হওয়ার দু’মাস পূর্তি উপলক্ষে এ কর্মসূচী ঘোষণা করে তারা। শহরের ট্রানজিট অপারেটর এমটিআর কর্পোরেশন জানায়, ইয়েন লং ও তুয়েন মুনসহ সম্ভাব্য বিক্ষোভ স্থলগুলোর কাছের ট্রেন স্টেশন বন্ধ রাখবে তারা। এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের বিষয়ে পুলিশ জনসংযোগ শাখা থেকে চীফ সুপারিনটেনডেন্ট সে চুন-চুং সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কর্মকর্তারা যে আইনের শাসনের যে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে সেটা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে সেটার বাস্তব চিত্র উঠে আসেনি। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের একটি অজ্ঞাত প্রতিবেদন পুলিশের প্রতি অবিচার। কারণ ঘটনা তথ্যের সঠিকতা নির্ণয়ের কোন উপায় আমাদের কাছে নেই।’ তারা বলপ্রয়োগের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা সব সময় সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দেন।
×