ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই খালেদাকে মুক্ত করা হবে

প্রকাশিত: ১০:০০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই খালেদাকে মুক্ত করা হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগ নেতারা নিজেরাই নিজেদের দুর্নীতির প্রমাণ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে যুবদল আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সরকারের মদদেই সর্বস্তরে দুর্নীতির বিস্তার ঘটেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এখন হাঁটতে পারেন না। অন্যের সাহায্য নিয়ে তাঁকে উঠে দাঁড়াতে হয়। গুরুতর অসুস্থ হলেও তাঁকে সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। বার বার আমরা বলেছি, সুচিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। সরকার তাতে কোন কর্ণপাত করছে না। অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তা না হলে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই তাঁকে মুক্ত করা হবে। আমরা বলতে চাই, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের দাবি-দাওয়া আদায় করব। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অবিলম্বে জাতীয় সংসদ বাতিল করুন এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠান করুন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে বাদ দিয়ে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিন। ফখরুল বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, নির্যাতন ও নিপীড়নের কথা এখন অন্য কাউকে বলতে হচ্ছে না। কথায় আছে ‘ধর্মের কল বাতাসে নড়ে’। সবাই দেখছে গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারাই নিজেদের দুর্নীতি প্রমাণ করছেন। তারা নিজেরাই প্রমাণ করছে, তারা দেশের সম্পদ লুট করছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকা শহরে এখন ৬০টি ক্যাসিনো। প্রত্যেকটি চালাচ্ছে যুবলীগ আর আওয়ামী লীগের নেতারা। এখন নিজেরাই ধরা পড়ছে। কিন্তু তারা আবার অন্যদের দোষ ধরতে চায়। তবে আজকে প্রমাণিত হয়েছে এই সরকার দুর্নীতিতে মদদ দিচ্ছে। এ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ। প্রমাণিত হয়ে গেছে ১২ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে লুটপাট করে কোথায় নিয়ে গেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে ছাত্র লীগের নেতা যারা দাবি করে তারাই ঘুষ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে। ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজির বিষয়ে যার সঙ্গে কথা হলো অর্থাৎ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কথোপকথন ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। এভাবে দুর্নীতি-চাদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে দেশকে অরাজক অবস্থায় নিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের আমরা সম্মান করি, মাথার ওপরে রাখি। অথচ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আজ ঘুষ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা, তাদের ভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দুর্নীতির অভিযোগ এনে আন্দোলন করছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সবাই রাস্তায় নেমে পড়েছে। গোপালগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। সরকার বেছে বেছে খারাপ শিক্ষকদের ভিসি নিয়োগ করায় তারা এখন অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত। দেশের মানুষ তাহলে যাবে কোথায়? ফখরুল বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই, যাকে যখন খুশি তুলে নিয়ে যায়, কোথাও ন্যায় বিচার নেই।
×