ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশ নিয়ে কিছু কথা

প্রকাশিত: ১২:১৭, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাঁশ নিয়ে কিছু কথা

গাছ নয়, ঘাস বাঁশ কিন্তু গাছ নয়, ঘাস। বিশ্বে প্রায় ১৪০০ জাতের বাঁশ রয়েছে। হাঁটু পর্যন্ত উঁচু থেকে শুরু করে ৩০ মিটারের বেশি দীর্ঘ হয় এমন বাঁশ রয়েছে। লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাঁশের দেখা পাওয়া যায়। নির্মাণ উপকরণ নমনীয় অথচ শক্ত হওয়ার কারণে এশিয়ায় নির্মাণকাজে বাঁশ প্রচুর ব্যবহৃত হয়। বাঁশ খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে। ফলে কৃষকদের জন্য বাঁশ চাষ লাভজনক। তবে সমস্যাও আছে। বাঁশ একবার জমিতে জুড়ে বসলে সেখান থেকে সহজে সরানো প্রায় অসম্ভব। বিবিধ ব্যবহার অনেক কিছুতেই বাঁশ ব্যবহার করা যায়। যেমন তৈজসপত্র, ঘরের মেঝে, টুথব্রাশ, আসবাবপত্র, কাগজ, সানগ্লাস ইত্যাদি তৈরিতে বাঁশ কাজে লাগানো যায়। এসব কারণে চীনে অনেকে বনজঙ্গল কেটে বাঁশের চাষ করছে। ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। কফি কাপ বাঁশ দিয়ে ইদানীং পুনর্ব্যবহারযোগ্য কফি কাপও তৈরি হচ্ছে। তবে সম্প্রতি জার্মানির একটি কনজিউমার গ্রুপ ১২টি বাঁশের তৈরি কফি কাপ পরীক্ষা করে সবগুলোতেই ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ পেয়েছে। এছাড়া এই কাপগুলো সহজে পচে না বলেও জানিয়েছে তারা। খাবার হিসেবে বাঁশ অনেকেরই প্রিয় খাবার রান্না বা সিদ্ধ করা কচি বাঁশ। পা-াদেরও প্রিয় খাবার বাঁশ। এছাড়া শিম্পাঞ্জি, গরিলাও বাঁশ খেয়ে থাকে। নদীর পাড় ক্ষয় এড়াতে নদীর পাড় শক্ত করতে অনেক সময় বাঁশ ব্যবহার করা হয়। যেমন কেনিয়ায় তানা নদীর তীরে বাঁশ পুঁতে রাখা হয়েছে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
×