ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উপকূলে ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকবে

প্রকাশিত: ১১:০৭, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

উপকূলে ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতিবছরের মতো এবারও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা-ইলিশ রক্ষা করতে আগামী ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। এ সময় ইলিশের প্রজননক্ষেত্রের ৪টি পয়েন্টের ৭০০০ বর্গকিলোমিটার উপকূলীয় এলাকার সকল নদ নদীতে এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন মৎস্য-আহরণ বন্ধ থাকার ফলাফল ও প্রভাব’ এবং ‘ইলিশের প্রধান প্রজননমৌসুমে মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৯’ নামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার এমপি আশিকুল্যা রফিক, মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম ম-ল, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড. ইয়াহিয়া মাহমুদসহ বিভিন্ন মৎস্যজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, জেলে, মৎস্যগবেষক, এনজিও, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, র‌্যাব, বনবিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ এতে বক্তৃতা করেন। সভায় জানানো হয় যে, ৪ পয়েন্টে এই নিষেধাজ্ঞা থাকছে তা হলো-মীরসরাই ও চট্টগ্রামের মায়ানি, তজুমুদ্দিন ও ভোলার পশ্চিম সৈয়দ আওলিয়া, কুতুবদিয়া ও কক্সবাজারের উত্তর কুতুবদিয়া এবং কলাপাড়া ও পটুয়াখালীর লতা চাপালী পয়েন্ট। এছাড়াও একই সময় সারাদেশে ইলিশ মাছের আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে। সভায় বলা হয়, প্রতিবছর আশ্বিন মাসের প্রথম পূর্ণিমার আগের ৪ দিন, পরের ১৭ দিন এবং পূর্ণিমার দিনসহ মোট ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা ২০১৭ সাল থেকে জারি রয়েছে। ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ১১ দিন এবং ২০১৫ সালে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ১৫ দিন। নিষেধাজ্ঞার আইন ভঙ্গ করলে কমপক্ষে ১ বছর থেকে ২ বছর সশ্রম কারাদ- অথবা সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দ- দ-িত হবে। সভায় সামুদ্রিক মৎস্য দফতরের পরিচালক ড. মোঃ আবু হাছানাত ‘সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছধরা বন্ধের ফলাফল ও প্রভাব’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আর আসন্ন ‘মা-ইলিশ রক্ষা অভিযান-২০১৯’ বিষয়ে ইলিশ ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী পরিচালক মাসুদ আরা মমি আরেকটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বক্তারা সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছধরা বন্ধ থাকায় সকল মাছের সংরক্ষণ, উৎপাদন ও আহরণবৃদ্ধি পাবার কথা উল্লেখ করে এ সময়ে জেলেদের সরকারী সাহায্য দানসহ তাদের বিভিন্ন সমস্যার চিত্রও তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী দেশের জনগণের পুষ্টিপূরণ, সমুদ্রসম্পদের যথাযথ সংরক্ষণসহ মৎস্য সম্পদবৃদ্ধি এবং মা-ইলিশ ও জাটকা নিধনের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান। তিনি কারেন্টজালসহ অবৈধভাবে মৎস্য নিধনকারীদের শাস্তির আওতায় আনার ওপরও জোর দেন।
×