ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাদকাসক্তদের ১ ডিসেম্বর থেকে গাড়ি চালাতে দেয়া হবে না

প্রকাশিত: ১১:০৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মাদকাসক্তদের ১ ডিসেম্বর থেকে গাড়ি চালাতে দেয়া হবে না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী এক ডিসেম্বর থেকে রাজধানীতে কোন মাদকাসক্ত চালক বাস-ট্রাক চালাতে পারবে না। এজন্য নির্ধারিত সময়ের পর থেকে মহানগরীতে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চালকদের ডোপ টেস্ট করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতি। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কর্মসূচী বাস্তবায়নে মালিকদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনাতনে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের এক যৌথসভা শেষে সভাপতির বক্তব্যে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। পরিবহন মালিকদের এ সিদ্ধান্তের প্রতি সহমত পোষণ করেছেন সকল মালিক ও শ্রমিক নেতারা। তারা বলছেন, অনেক চালক মাদকাসক্ত থাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। তাছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশে যাত্রী ও চালকের নিরাপত্তায় চালকের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হলেও আমাদের দেশে হচ্ছে না। এরই ধারাবাহিকতায় সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পরীক্ষার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারা। সভায় খন্দকার এনায়েত বলেন, আমরা চালকদের প্রায় আড়াই মাস সময় দিয়েছি। এরমধ্যে যারা মাদকাসক্ত আশাকরি তারা এ পথ থেকে সরে আসবে। অন্যথায় কোন মাদকাসক্ত চালককে গাড়ি চালাতে দেয়া হবে না। এই কর্মসূচী বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে সড়ক মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ’র সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। এক ডিসেম্বরের পর থেকে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিআরটিএ মাধ্যমে মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। অভিযানে যেসব চালকের মাদকাসক্তি পাওয়া যাবে তাকে গাড়ি চালাতে দেয়া হবে না। মালিক-শ্রমিক ও পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মাসে একবার হলেও বিভিন্ন বাস টার্মিনালে গাড়ি ছাড়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন। যদি গাড়ির কাগজপত্র ঠিক না থাকে তাহলে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিতে হবে। কোন অবস্থাতেই যাত্রীবাহী এই বাসকে চলাচলের অনুমতি দেয়া যাবে না। পাশাপাশি মাসে একবার হলেও বাস মালিকরা যেন চালকদের সঙ্গে বসে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। এতে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি আরও মজবুত হবে। কমবে দুর্ঘটনার মাত্রা। এনায়েত বলেন, রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানো। আমরা টেষ্টা করছি তা বন্ধ করার। এজন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কাউন্টার করে দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। কাউন্টার সিস্টেম চালু হলে চুক্তিভিত্তিক বাস চালানো বন্ধ হবে বলেও মনে করেন তিনি। সভায় মহাখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম, সায়েদাবাদ বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
×