ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইরান থেকেই সৌদির তেলক্ষেত্রে হামলা ॥ যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ইরান থেকেই সৌদির তেলক্ষেত্রে হামলা ॥ যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক ॥ সৌদির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দুটি তেলক্ষেত্রে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই ইরানের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। শনিবার অ্যারামকো তেল কোম্পানির আবকাইক ও খুরাইশ স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এতে ওই দুই তেলক্ষেত্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যেখান থেকে সৌদিতে হামলা চালানো হয়েছে সেই এলাকা শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ইরান থেকেই সৌদির দুই তেলক্ষেত্রে ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবারের ওই হামলার পর সৌদির তেল ও গ্যাস উৎপাদন শতকরা ৫০ ভাগ কমে গেছে। সৌদিতে তেল উৎপাদন প্রতিদিন ৫৭ লাখ ব্যারেল কমে গেছে। এদিকে মঙ্গলবার হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি ওই এলাকায় বিদেশিদের প্রবেশ না করতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কারণ সেখানে হুথি বিদ্রোহীরা আবারও হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইরানের দক্ষিণাঞ্চল থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে। সৌদির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ওই ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করতে পারেননি কারণ তারা ইয়েমেন থেকে যে কোনো হামলা প্রতিহত করতে দক্ষিণাভিমুখে সতর্ক ছিল। তবে প্রথম থেকেই ওই হামলার সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছে তেহরান। কিন্তু ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে যে, তারা সৌদির তেলক্ষেত্রে হামলা চালিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র আবকাইক তেলক্ষেত্র। এছাড়া খুরাইস এলাকায় অবস্থিত তেলক্ষেত্রটিও সৌদির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সৌদির ওই দুই তেলক্ষেত্রে হামলার ঘটনায় তেল উৎপাদন কমে যাওয়ার পরেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ১০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই দুই তেলক্ষেত্রে হামলার কারণে প্রতিদিনের তেল উৎপাদন কমেছে ৫০ লাখ ব্যারেল। এটা সৌদির তেল উৎপাদনের অর্ধেক এবং বিশ্বের মোট উৎপাদনের প্রায় ৫ শতাংশ। কতদিনের মধ্যে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। মঙ্গলবার প্রথম কেনাবেচার সময় তেলের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত ২৮ বছরে সবচেয়ে বেশি। এর আগেও সৌদির বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। তবে রোববার মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের বিশ্বাস ওই ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র সৌদির দক্ষিণ বা দক্ষিণ পশ্চিম থেকে পরিচালিত হয়নি। বরং এগুলো উত্তর বা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে পরিচালিত হয়েছে।
×