জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারে রয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা মুলসমানরা এখনও অবিরাম নিপীড়নের শিকার হচ্ছে এবং তারা গণহত্যার ঝুঁকি নিয়েই সেখানে বাস করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন’ বা তথ্যানুসন্ধান দল সোমবার তাদের প্রতিবেদনে এ ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে আবারও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কয়েকজন জেনারেলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে। খবর ইয়াহু নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও রাখাইন রাজ্যে প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে বাস করছে। তাদের চলাফেরার ওপর এত বেশি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে যে, তার প্রভাব তাদের মৌলিক মানবিক চাহিদার ওপরও পড়েছে। এসব কারণে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী, যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে তাদের রাখাইনে ফেরা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।’ অস্ট্রেলিয়ার মানবাধিকার আইনজীবী এবং জাতিসংঘ প্যানেলের সদস্য ক্রিস্টোফার সিডটি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সেখানে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গারা এখনও গণহত্যার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’ নতুন প্রতিবেদনে মিয়ানমারের উত্তরের দুই প্রদেশ শান ও কোচিনে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সেনাবাহিনী ‘অত্যাচার ও নিপীড়ন’ করছে বলে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই দুই রাজ্যেও মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিপীড়নের প্রধান অস্ত্র হিসেবে ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নকে ব্যবহার করছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পর রয়টার্সের পক্ষ থেকে টেলিফোনে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হতাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাতে সাড়া মেলেনি। টেলিফোনে সেনাবাহিনীর দুই মুখপাত্রের কাছে এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তারাও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
