ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তিতে ইসি কর্মী জড়িত থাকলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তিতে ইসি কর্মী জড়িত থাকলে ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার পেছনে নির্বাচন কমিশনের কোন কর্মী জড়িত নয় বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কবিতা খানম। তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধনসহ অনেক কিছু দেখে ভোটার করা হয়। তাদের সে সুযোগ নেই। তারপরও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে কোন কর্মীর যোগসাজশ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সোমবার চট্টগ্রাম জেলা আঞ্চলিক কার্যালয়ে নির্বাচন কর্মীদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি কথাগুলো বলেন। ইসি কবিতা খানম ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে যে রোহিঙ্গারা এসেছে তাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হয়েছে। সে নিবন্ধনের কপি আমরা নিয়ে এসেছি। নির্বাচন কমিশনেও বায়োমেট্রিক নেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামের বিশেষ এলাকায় ভোটার তালিকা করার সময় ভেরিফাই করলে শনাক্ত হয়ে যাবে। কোন রোহিঙ্গা যদি তালিকাভুক্ত হয়ে যায় তাদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা দিয়েছি। ইতোমধ্যে ৪৬ রোহিঙ্গার তথ্য আমরা উদ্ধার করেছি। তবে তারা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পায়নি। এদের আলাদা করে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে যাদের বায়োমেট্রিক আছে তারা কোনভাবেই ভোটার তালিকায় আসতে পারবে না। অতি সম্প্রতি যে সকল রোহিঙ্গার পাসপোর্ট ধরা পড়েছে সে প্রসঙ্গে ইসি কবিতা খানম বলেন, যারা ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র বের করেছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এরসঙ্গে নির্বাচন কমিশনে কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কার্যালয়ে নির্বাচন কর্মীদের এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ হাসানুজ্জামান, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা এবং বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২১টি উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×