ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ভেস্তে যাওয়ার নেপথ্যে কিছু বিদেশী সংস্থা!

প্রকাশিত: ১১:০৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ভেস্তে যাওয়ার নেপথ্যে কিছু বিদেশী সংস্থা!

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ রোহিঙ্গা ইস্যুর শেষ পরিণতি কী হবে- তা এ মুহূর্তে কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে এটা সত্য যে, এদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন যতই বিলম্বিত হবে ততই বিভিন্ন অঘটনের জন্ম নিতেই থাকবে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা এবং এর সঙ্গে কিছু বিদেশী রাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়ে যাই করুক না কেন তা সাময়িক। এই রোহিঙ্গা ইস্যু শেষটুকুই যে এদেশকে বহন করতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিদেশী সংস্থা ও রাষ্ট্রগুলোর এদের পক্ষে এখনই যে মায়াকান্না শুরু করেছে তা শেষাবধি থাকে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। দুদফায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ভেস্তে যাওয়ার নেপথ্যে এসব সংস্থা ও রাষ্ট্রের মায়া কান্নাও দায়ী বলে আলোচনায় এসেছে। বর্তমান সরকারের মানবিকতার প্রতিদান কী হবে তা অনুমান করা মুশকিল। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, প্রত্যাবাসনের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গারা যেমন এক হয়েছে, তেমনি আগামীতে মিয়ানমার সরকারের কাছ থেকে তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কক্সবাজার তথা উখিয়া-টেকনাফ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে গেলেও বিস্ময়ের কিছুই থাকবে না। কেননা, আশ্রিত হওয়ার পর থেকে উখিয়া-টেকনাফের ৩২ আশ্রয় শিবিরে সন্ত্রাসীদের যেমন কমতি নেই তেমনি অস্ত্র মজুত করার তৎপরতাও লক্ষণীয়। এর পাশাপাশি আশ্রয় অঞ্চলে এরা আধিপত্য বিস্তারের এক ধরনের অপতৎপরতায়ও লিপ্ত। প্রশাসন ইতোমধ্যে আশ্রয় শিবির কেন্দ্রিক পুলিশী ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু এরপরও এত বিশাল ভিনদেশী জনগোষ্ঠী সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে যাবে কিনা তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মহলে সন্দেহের কমতি নেই। এদিকে আশ্রয় ক্যাম্প ছেড়ে কিছু কিছু রোহিঙ্গার দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিদেশে পাড়ি জমানোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছু কিছু রোহিঙ্গাকে আটক করে ফের আশ্রয় ক্যাম্পে পাঠাচ্ছে। একদিকে মালয়েশিয়া নিয়ে যেতে ক্যাম্পে যেমন রোহিঙ্গা দালালরা সক্রিয় রয়েছে, অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের স্বজনদের বার্মায় না পাঠাতে ক্যাম্প ত্যাগ করিয়ে নিজেদের তত্ত্বাবধানে নিয়ে যাচ্ছে। আশ্রয় শিবিরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে গণনা মতে কম পাওয়া বেশিরভাগ রোহিঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। পরবর্তীতে তাদের খোঁজে পাওয়া গেলেও প্রত্যাবাসন করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র।
×