ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নেতাকর্মীদের নামে ১ লাখ মামলা, আসামি ২৬ লাখ ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নেতাকর্মীদের নামে ১ লাখ মামলা, আসামি ২৬ লাখ ॥ ফখরুল

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জনগণের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই, সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। আর বিচ্ছিন্ন বলেই আজ তাদের শুধু রাষ্ট্রের যন্ত্রগুলো ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হয়। এভাবে টিকে থাকার জন্যই দমন-পীড়ন, অত্যাচার করা হচ্ছে। এক লাখ মামলায় আসামির সংখ্যা ২৬ লাখ। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের ওপর এ ধরনের নির্যাতন হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত মানববন্ধনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। যারা রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসে থাকে, তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। এটা অবৈধ সরকার, এই সংসদ অবৈধ। সুতরাং, অবিলম্বে সংসদ বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে নতুন সরকার ও সংসদ গঠন করতে হবে। এটাই হচ্ছে জনগণের দাবি। ‘সরকার সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের ভিতটাকে নষ্ট করছে। গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। গণতান্ত্রিক সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। আদালতে প্রভাব বিস্তার করছে। প্রশাসনকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করে ফেলেছে। তারা গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ মিডিয়াকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। বলা যায় তারা সফল হয়েছে। আজ ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। কথা বললেই তুলে নিয়ে যাবে। কথা বললেই মামলা হবে। এটা একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র।’ ফখরুল বলেন, এখন রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন না, রাষ্ট্রই এখন রাজনীতিবিদদের পরিচালনা করছে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য দাঁড়াতে হবে, আন্দোলন করতে হবে। আমাদের অধিকার আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। কেউ আমাদের দিয়ে যাবে না। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আইনসঙ্গতভাবে তিনি যে জামিন পাওয়ার যোগ্য সেই জামিন তাকে নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের কী আছে বলুন, আজ দশ লাখ রোহিঙ্গা ঢুকেছে তাদের জন্য মিয়ানমারকে একটা শক্ত কথা বলতে পারি না। আজ আমাদের পক্ষে কেউ নেই। চীন-আমেরিকা-ভারত যে আমাদের সবচেয়ে বেশি বন্ধু, তারা কোথায়। তাদের কেন আমরা দুই বছরেও রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে পক্ষে আনতে পারছি না। আসামে যে এনআরসি তালিকা করা হয়েছে সেখানে ১৯ লাখ বাদ দেওয়া হয়েছে। আসামের মন্ত্রী বলছেন এরা সব বাংলাদেশি, বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ‘আমাদের ওবায়দুল কাদের বলেছেন ‘আমরা ভারতকে বিশ্বাস করতে চাই। আমরা উদ্বিগ্ন কিন্তু আমরা তাদের বিশ্বাস করতে চাই।’ কী নতজানু পররাষ্ট্রনীতি। আমার রাষ্ট্রে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এক ইঞ্চি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বাংলার মানুষ কোনোদিনও তা মেনে নেবে না।’ মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল অব. জয়নাল আবেদিন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
×