ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আবাসন সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়ে ডাকসু সদস্য গণরুমে

প্রকাশিত: ১১:০৯, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আবাসন সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়ে ডাকসু সদস্য গণরুমে

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের কাছে একটি বড় আতঙ্কের নাম ‘গণরুম’। ঢাবির হলে বসবাস করা প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রথম বর্ষটি ২৫-৩০ জনের কক্ষে এক সঙ্গে কাটাতে হয়। শিক্ষার্থীদের এই কষ্ট থেকে মুক্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি ডাকসুর সকল সদস্যই তাদের ইশতেহারে লিখেছে। কিন্তু ছয় মাসেও এই দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি পায়নি শিক্ষার্থীরা। তাই ক্ষমা চেয়ে নিজের বৈধ সিট ছেড়ে ‘গণরুমের’ থাকছেন ডাকসুর সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হলের ২০৮ নং কক্ষে থাকা শুরু করেন তিনি। এই কক্ষে ২৫ জন শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে থাকে। এতদিন সৈকত এ হলের ৩২০ নং কক্ষে থাকতেন। নাট্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এই ছাত্র এখন রাতে গিয়ে গণরুমে ঘুমান। তার আগের সিটে (৩২০ নং কক্ষে) গণরুমে থাকা শিক্ষার্থীরা পালা করে ঘুমাতে যান। তিনি বলেন, গণরুমই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর মেধার বিকাশ ঘটাতে প্রথম বাধা। শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি হয়েও এতদিনে এই সমস্যার কোন সমাধান করতে পারিনি। তাই আমি লজ্জিত এবং ক্ষমা প্রার্থী। তাই নিজের বৈধ সিট ছেড়ে দিয়ে গণরুমে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই প্রতিবাদের একটি ভাষা। বৈধকক্ষ ছেড়ে দিয়ে ‘গণরুমে’ চলে আসার পাঁচ দিন পর এই সমস্যা সমাধানের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন ডাকসুর সদস্য সৈকত। স্মারকলিপিতে তিনি বলেন, ঢাবি শিক্ষার্থীরা মৌলিক চাহিদার চতুর্থটি (শিক্ষা) অর্জন করতে এসে অপ্রতুল আবাসন ব্যবস্থার দরুন তৃতীয় মৌলিক চাহিদা (বাসস্থান) মেটাতে পারছে না। গণরুম সমস্যা সমাধানে তিনি ছয়টি প্রস্তাব দেন। সেগুলো হলো, গণরুমে পর্যাপ্ত বাংক বেডের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি গণরুমে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি শিক্ষার্থী রাখা যাবে না, বাড়তি শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য বাংক বেডের সংখ্যা বাড়াতে হবে, শিক্ষার্র্থীদের আবাসনের দিকেও সমান দৃষ্টি দিয়ে নতুন হল নির্মাণ করতে হবে, যেহেতু শিক্ষার্থী অনুপাতে হলসংখ্যা বাড়ছে না তাই বিশ্ববিদ্যলয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তির আসন সংখ্যা কমিয়ে পর্যাপ্ত সুবিধা নিশ্চিত করে উন্নত শিক্ষা প্রদান করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে বহিরাগত মুক্ত করতে হবে।
×