ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমিন বাজারে অবৈধ ডাম্পিং গ্রাউন্ড ॥ জরিমানা করা হচ্ছে ডিএনসিসিকে

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আমিন বাজারে অবৈধ ডাম্পিং গ্রাউন্ড ॥ জরিমানা করা হচ্ছে ডিএনসিসিকে

সংসদ রিপোর্টার ॥ পরিবেশ ছাড়পত্র গ্রহণ না করেই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আমিনবাজারে পৌরবর্জ্য ডাম্পিং স্টেশন করেছে। বার বার চিঠি দিয়েও সদুত্তর না পেয়ে এবার বড় ধরনের জরিমানার শিকার হতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে। ডিএনসিসি’র পক্ষ থেকে সঠিক জবাব না দেয়ায় সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সদস্যরা ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কমিটি আমিনবাজারের ডাম্পিং স্টেশনের সমস্যা নিরসনে জরুরীভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে বন্ধ করার নোটিস প্রদানসহ বড় ধরনের জরিমানা আরোপের সুপারিশ করে। শনিবার সংসদ ভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, পরিবেশ দূষণের জন্য জরিমানা করার বিধান আছে। আইন সবার জন্য সমান। সিটি কর্পোরেশন এখানে কোন বিশেষ সুবিধা পেতে পারে না। তাদের ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ড অবৈধ। পরিবেশ অধিদফতর আগেও এ ব্যাপারে চিঠি পাঠিয়েছে, তারা কোন সাড়া দেয়নি। ওই বর্জ্য স্টেশন বন্ধ করার জন্যও তাদের চিঠি দেয়া হবে। ওই এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী ও অন্যরা। পরিদর্শন শেষে তাদের সুপারিশ ছিল বর্ণিত এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে পৌর বর্জ্য ডাম্পিংয়ের ফলে ভূ-পৃষ্ঠের ও ভূ-গর্ভস্থ পানি দূষণ, নদী ও জলাশয় দূষণ, কৃষি জমি বিনষ্ট, পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার ক্ষতিসাধন করায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক কী কী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছিল। এই চিঠি দেয়া হয়েছিল চলতি বছরের ২৪ মে। এরপর ২৬ জুন আরেকটি চিঠি দেয়া হয়। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে সঠিক জবাব না দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন কমিটি সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। শনিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বৈঠকে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে ইঙ্গিত করে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আর কত দিন সময় দেবেন? একটা সরকারী প্রতিষ্ঠান যদি এমন হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কি করবে? আপনি যতদ্রুত সম্ভব নোটিস জারিপূর্বক সর্বোচ্চ জরিমানা করেন। মানুষ যেন বুঝতে পারে পরিবেশ ছাড়পত্র ব্যবহার না করলে শাস্তি হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, এ সময় পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, সিটির এত বর্জ্য তারা কোথায় ফেলবে? কিছুটা সময় দেয়া হোক। এর জবাবে কমিটির সভাপতি বলেন, আপনার আইনে কি বলে? এধরনের অপরাধ করলে কি করতে পারবেন? জবাবে মহাপরিচালক বলেন, জরিমানা করা যেতে পারে, উচ্ছেদও করা যেতে পারে। পরে সর্বোচ্চ জরিমানা করার পরামর্শ দেন এবং আগামী বৈঠকে তার সুফল দেখতে চান সভাপতি। এছাড়া কমিটির বৈঠকে গাড়ি আমদানি করার ক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণের ওপর নির্ভর করে ট্যাক্স নির্ধারণ করার জন্য আগামী নবেম্বর-ডিসেম্বর মাসের মধ্যে একটা প্রস্তাবনা তৈরি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
×