ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শীতল যুদ্ধকালীন গোপন নথি

সিআইএর তথ্য সংগ্রাহক কবুতর, কাক ও ডলফিন

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সিআইএর তথ্য সংগ্রাহক কবুতর, কাক ও ডলফিন

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ শীতল যুদ্ধকালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে কবুতর, দাঁড়কাক ও ডলফিনসহ অন্যান্য প্রাণীর মাধ্যমে প্রতিপক্ষের সুরক্ষিত গোপন তথ্য হাতিয়ে নিত। মার্কিন প্রশাসনের এই অভিনব তথ্য চুরির বিষয়টি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। অবশ্য সে সময় সোভিয়েত কর্তৃপক্ষের ঠিক কতটি তথ্য সিআইএ হস্তগত করতে পেরেছিল তার স্পষ্ট কোন ধারণা পাওয়া যায়নি। সিআইএর সে সময়কার নথি ঘেঁটে দেখা যায়, সংস্থাটি তখন কবুতরের পিঠে হালকা এক ধরনের সেন্সর বসিয়ে সেটিকে বর্তমান রাশিয়ার একাধিক স্থাপনার দিকে উড়িয়ে দিত। উচ্চ প্রশিক্ষিত এসব কবুতর শত শত মাইল উড়ে রাশিয়ায় পৌঁছত। ভার্জিনিয়ায় সিআইএর সদর দফতরে অবস্থিত জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এসব নথি প্রকাশ করেছে। ওই জাদুঘরে সে সময়কার ছোট ক্যামেরা, গ্যাজেট ও সেন্সর এখনও রক্ষিত আছে। ১৯৭০ এর দশকে সিআইএর এই কবুতর মিশনের সাংকেতিক নাম ছিল-‘তাকানা’। সে সময় কবুতরের পিঠে বসানো অতিক্ষুদ্র গোপন ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি তুলতে পারত। বিশেষ করে ১৯৬০ এর দশক থেকে সিআইএ কবুতরসহ অন্যান্য প্রাণীর সাহায্যে এই গোপন মিশন শুরু করে। সিআইএ প্রকাশিত নথিতে দেখা যায়, সে সময় দাঁড়কাকের শরীরে ৪০ গ্রাম ওজনের ক্যামেরা বসিয়ে দেয়া হত যাতে এটি সহজেই কোন স্থাপনার জানালায় বসে তথ্য নিতে পারে। একই সময়ে ডলফিনের সাহায্যে তথ্য নিত সিআইএ। ডলফিন মূলত পানির নিচে সোভিয়েত বাহিনীর পারমাণবিক ডুবোজাহাজ শনাক্ত করত। সে সময় সিআইএর এই ‘তাকানা’ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৬ লাখ ডলার। -বিবিসি অবলম্বনে।
×