ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হংকংয়ের জন্য মার্কিন কংগ্রেসে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিল

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

হংকংয়ের জন্য মার্কিন কংগ্রেসে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিল

হংকংয়ের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক একটি বিলের প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে জনসমর্থন তৈরি হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মার্কিন সমর্থনের এই ইঙ্গিত নিশ্চিতভাবেই চীনকে ক্ষুব্ধ করবে। এক পর্যবেক্ষক বলেন, হংকংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আইনটি যেমন মার্কিন উদ্বেগের কার্যকর ভাষা, তেমনি এটা শহরের সমস্যা সমাধানের পথ নয়। বর্তমানে সিনেট ও হাউসে রয়েছে হংকং হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড ডেমোক্রেসি এ্যাক্ট নামে ওই বিলটি। এই আইনটির ফলে প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে যে, সেখানে পর্যাপ্ত স্বায়ত্তশাসন রয়েছে কী না। এছাড়া বাণিজ্যসহ আরও কিছু বিষয়ে চীন থেকে আলাদাভাবে দেখতে হবে। এটা চীন ও হংকং সরকারকে শহরের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখতে চাপে ফেলবে। অন্যথায় মার্কিন আইনে হংকংয়ের বিশেষ মর্যাদা ক্ষুণœ হবে এবং অর্থনৈতিক ভবিষ্যত ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনকে যেসব কর্মকর্তা অবজ্ঞা করবে, এই আইনের ফলে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ সপ্তাহেই বিলটি সম্পর্কে প্রস্তাব উত্থাপন করেন সাত সিনেট সদস্য। বর্তমানে বিলটির সমর্থন করছেন ১৬ জন, যা সিনেটের প্রায় এক পঞ্চমাংশ। বিলটির সমর্থক প্রখ্যাত আইনপ্রণেতাদের মধ্যে রয়েছেন নিউইয়র্কের ডেমোক্রেটিক সিনেটর কারস্টেন গিলিব্রান্ড এবং মেইনের চারবারের রিপাবলিকান সিনেটর সুসান কলিন্স। এছাড়া চারজন কংগ্রেস সদস্যও হাউসে বিলটি উত্থাপন করেছেন। পরবর্তীতে এর পক্ষে মত দেন ২৫ জন প্রতিনিধি। উল্লেখ্য সর্বমোট প্রতিনিধি রয়েছেন ৫৩৫ জন। বিলটির দুটি সংস্করণই পররাষ্ট্র বিষয়ক, জুডিসিয়ারি, আর্থিক সেবা কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা এটি পর্যালোচনা করবে এবং এটি করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এরপর এটি নিয়ে বিতর্ক হবে এবং এর ওপর ভোট হবে। প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের মাধ্যমে আইনে পরিণত হওয়ার আগে হাউস ও সিনেট উভয়কক্ষেই পাস হতে হবে বিলটি। ওয়াশিংটন পোস্ট এক নিবন্ধে বিলটি দ্রুত পাসের জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া বিক্ষোভের প্রতি দুর্বলভাবে সাড়া দেয়ায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমালোচনা করা হয়েছে ওই নিবন্ধে। বুধবার সম্পাদকীয় পাতায় পত্রিকাটি লেখে, ‘বেজিংকে প্রতিরোধের স্পষ্ট বার্তা দেয়ার এখনই সময়- আর হংকংয়ের গণতন্ত্র আন্দোলনকে দেখানো যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্ব্যর্থহীনভাবে পাশে আছে।’ অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে আসছে চীন। অন্যদিকে গত রবিবার মার্কিন কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভের সময় প্রকাশ্যে ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে হংকংয়ের বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের অন্যতম সংগঠক জোসুয়া অং বেজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় মানবাধিকারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ওয়াশিংটনে আগামী রবিবার ওয়াশিংটনে কংগ্রেসের একটি কমিশনের কাছে সাক্ষ্য দেবেন তিনি। -ওয়েবসাইট
×