ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মিস্ত্রিকে মারধর

সৌদি রাজকন্যার ১০ মাসের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১০:২১, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 সৌদি রাজকন্যার  ১০ মাসের  কারাদণ্ড

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্যারিসের বিলাসবহুল এ্যাপার্টমেন্টে পাইপ ঠিক করতে আসা মিস্ত্রিকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের মেয়ে হাসা বিনতে সালমানকে ১০ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ফ্রান্সের এক আদালত। দাতব্য সংস্থা ও নারী অধিকারের পক্ষে কাজ করা ৪৩ বছর বয়সী এ প্রিন্সেস সৌদিতে বেশ জনপ্রিয়। খবর বিবিসির। বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার সময় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এ বোন উপস্থিত ছিলেন না। মিস্ত্রিকে মারধর ও অপহরণের অভিযোগে সৌদি এ প্রিন্সেসকে ১০ হাজার ইউরো জরিমানাও করা হয়েছে। একই মামলায় হাসার দেহরক্ষী রানি সাইদিকে ৮ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। অভিযোগকারী আশরাফ ইদ বলছেন, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্যারিসের এভিনিউ ফসে প্রিন্সেসের ওই বিলাসবহুল এ্যাপার্টমেন্টে কাজ করতে যাওয়ার পর তাকে হাসার পায়ে চুমু খেতে বাধ্য করা হয়। হাসার নির্দেশে সেদিন দেহরক্ষী সাইদি তাকে মারধর ও কয়েক ঘণ্টা বেঁধেও রাখেন বলে অভিযোগ এ মিসরীয়র। ওই ঘটনার পরপরই সৌদি প্রিন্সেস ও তার দেহরক্ষী ফ্রান্স ছেড়ে চলে যান। ২০১৮ সালের মার্চে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর চলতি বছরের ৯ জুলাই ফ্রান্সের আদালতে তাদের বিচার শুরু হয়। হাসার ফরাসী আইনজীবী ইমানুয়েল মইন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করা হবে বলে জানিয়েছেন। তার মক্কেল মিস্ত্রিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলেও ভাষ্য মইনের। শৌচাগারের বেসিন ঠিক করতে এসে মিস্ত্রি তার ছবি তুলে সেগুলো বিক্রির মতলব এঁটেছিলেন বলেও পাল্টা অভিযোগ করেছেন সৌদি প্রিন্সেস। যদিও আশরাফ বলছেন, হাসা নয়, তিনি সেদিন শৌচাগারের ছবি তুলেছিলেন। সৌদি আরবের আইনে প্রিন্সেসদের ছবি তোলা অবৈধ।
×