ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিজারের সাড়ে ৩ মাস পর প্রসূতির পেট থেকে বের হলো গজ

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

  সিজারের সাড়ে ৩ মাস পর প্রসূতির পেট  থেকে বের  হলো গজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ১৩ সেপ্টেম্বর ॥ অস্ত্রোপচারের (সিজার) তিন মাস ১৮দিন পর এক প্রসূতির পেট থেকে ফের অস্ত্রোপচার করে বের করা হলো গজ ব্যান্ডেজ। ওই গৃহবধূ বর্তমানে শহরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার রাতে তার পেটে দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার করা হয়। গৃহবধূর নাম ফরিদা বেগম (২৬)। তিনি সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মাসুদ শেখের স্ত্রী। গৃহবধূর স্বজনরা জানান, গত ২৫ মে ওই গৃহবধূর প্রসবজনিত অসুস্থাবস্থায় শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার সাফা মক্কা ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারী হাসপাতালে এসে ভর্তি হন। ওই দিনই হাসপাতালের চিকিৎসক শ্যামল কুমার বিশ্বাস প্রসূতির অস্ত্রোপচার করলে কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। তিনদিন পর ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি চলে যান গৃহবধূ। বাড়ি যাওয়ার পর ক্রমেই গৃহবধূর পেটের ভেতরে ব্যথা অনুভব হতে থাকে। সম্প্রতি ব্যথা প্রকট আকার ধারণ করলে একই এলাকার হ্যাপী হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি করে নির্দেশনা অনুযায়ী আলট্রাসনোগ্রাম করলে পেটের মধ্যে গজ ব্যান্ডেজের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পরে বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে ফের অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে কয়েক ইঞ্চি পরিমাপের একটুকরো গজ ব্যান্ডেজ উদ্ধার করা হয়। শ্যামল কুমার বিশ্বাস জানান, রোগীর অবস্থা বেশ সঙ্কটাপন্ন ছিল। সিজারের সময় রোগীর পেটে গজ-ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করা হয়। ফলে সেই গজ পচে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিনি বলেন, বর্তমানে রোগী সুস্থ আছেন এবং তিনি শঙ্কামুক্ত। এ ব্যাপারে সিজার অপারেশন করা চিকিৎসক শ্যামল কুমার বিশ্বাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ওই রোগীর সিজার তিনি করেছিলেন কিনা তা তিনি স্মরণ করতে পারছেন না। কবে-কোথায় অপারেশন করেছেন তা খাতাপত্র না দেখে কিছু বলা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
×