ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান রক্ষায় কর্মসূচী ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 শোলাকিয়া ঈদগাহ  ময়দান রক্ষায়  কর্মসূচী  ঘোষণা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ১৩ সেপ্টেম্বর ॥ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ রক্ষায় আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে শোলাকিয়া ময়দান সংলগ্ন চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চ এ কর্মসূচী ঘোষণা করে। এ সময় আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে রাষ্ট্রপতি ও কিশোরগঞ্জের ছয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাত করে শোলাকিয়া ঈদগাহের ঐতিহ্য ও মর্যাদা রক্ষার দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরা, এ দাবির সমর্থনে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান, স্থানীয় বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, সুধীজন ও আলেম সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় এবং ধারাবাহিকভাবে মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশ করা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক শেখ সেলিম কবির। এ সময় এ দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সাবেক পৌর মেয়র আবু তাহের মিয়া, শিক্ষাবিদ আবু খালেদ পাঠান, সাংস্কৃতিক কর্মী আবুল এহসান অপু, মাওলানা আবুল কাশেম জিহাদী, মাওলানা ইলিয়াস আমিনী, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম দুলাল, কামরুল হাসান মুকুল। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মডেল মসজিদ কাম ইসলামিক কালচারাল সেন্টার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী খাস জমি নির্বাচন করতে হবে। যদি খাস জমি না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে সরকারী বিধি মোতাবেক ৪০ শতাংশ জায়গা অধিগ্রহণের মাধ্যমে ক্রয় করে কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু তা না করে কোন্ যুক্তিতে, কী স্বার্থে কে বা কারা এ রকম কান্ডজ্ঞানহীন ও অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নেবার সাহস রাখেন তা খুঁজে বের করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া কোন্ সভায় কাদের মাধ্যমে শোলাকিয়া ঈদগাহে মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের নজরে আনারও দাবি জানানো হয় প্রশাসনের প্রতি। সংবাদ সম্মেলনে মডেল মসজিদ কাম ইসলামিক কালচারাল সেন্টারটি শোলাকিয়া ঈদগাহের পাশের গরুর হাটে নির্মাণের জন্যও দাবি জানানো হয়। দাবি মানা না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়। উল্লেখ্য, মডেল মসজিদ কাম ইসলামিক কালচারাল সেন্টার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় প্রশাসন আড়াইশ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহকে বেছে নেয়।
×