ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মাসে দেড় কোটি টাকা লোকসান পঞ্চগড় এক্সপ্রেসে

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 মাসে দেড় কোটি টাকা লোকসান পঞ্চগড় এক্সপ্রেসে

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ১৩ সেপ্টেম্বর ॥ শুরু থেকে প্রতিমাসে দেড় কোটি টাকা লোকসান দিয়ে চলছে পঞ্চগড়-ঢাকা রেলরুটের বিরতিহীন পঞ্চগড় আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন। উদ্বোধনের দিন থেকেই মোট আসনের অর্ধেক টিকেট বিক্রি না হওয়ায় প্রতিদিনের লোকসান প্রায় ৫ লাখ টাকা। শুধু নিজে লোকসান দিচ্ছে তা নয়, সিডিউল বিপর্যয় ঘটাচ্ছে একাধিক রুটের ১৮ আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের। এদিকে, ট্রেনটি বিরতিহীন দাবি করা হলেও ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পার্বতীপুর এবং জয়দেবপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি রাখা হয়েছে। জানা গেছে, চলতি বছরের ২৫মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামক ট্রেনটির উদ্বোধন করেন। অত্যাধুনিক বগি সংযোজিত এই ট্রেনটিতে নন-এসি চেয়ার, এসি চেয়ার এবং এসি সিøপার শ্রেণী মিলে মোট আসন ৮৯৬। সম্প্রতি রেলওয়ে বুকিং অফিস সংশ্লিষ্টদের সূত্রে মিলেছে এক মাসের মধ্যে মাত্র ১২ দিনের লোকসানি তথ্য। ওই তথ্যে জানা গেছে, বিগত জুলাই মাসের ১ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত শুধু নন-এসি চেয়ার শ্রেণীর মোট ৯ হাজার ২১৬ টিকেটের মধ্যে ডাউন রুটে টিকেট অবিক্রীত ছিল ৪ হাজার ৮৭৯টি এবং আপরুটে একই সংখ্যক টিকেটের মধ্যে অবিক্রীত ছিল ৩ হাজার ২৬৮টি। আপ-ডাউনে মোট ১৮ হাজার ৪৩২ টিকেটের মধ্যে অবিক্রীত ছিল ৮ হাজার ১৪৭টি। ঢাকা থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত এই শ্রেণীর টিকেটের ৫৫০ টাকা মূল্য হিসেবে ৮ হাজার ১৪৭টি অবিক্রীত টিকেটের মোট মূল্য ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৫০টাকা। যা পুরোটাই লোকসান। লোকসান শুধু অবিক্রীত টিকেটেই নয়, ট্রেনটির চলাচলে জ¦ালানি খরচ, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা এবং পরিচর্যা খরচ যোগ করলে লোকসানের পাল্লা আরও ভারি হবে। লোকসান দেয়ার পাশাপাশি এই ট্রেনটির কারণে ঢাকার সঙ্গে চলাচলকারী আন্তঃনগর লালমনি এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস ছাড়াও খুলনা এবং রাজশাহীগামী আপ-ডাউনে ৮টি মিলে মোট ১৮টি আন্তঃনগর ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। এদিকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়পুরহাট, সান্তাহার জংশন ও নাটোরে যাত্রাবিরতি থাকলে বিপুল পরিমাণ টিকেট অবিক্রীত থাকত না, গুনতে হতো না লোকসান। এমনটা দাবি করেছেন জয়পুরহাট, নাটোর ও সান্তাহার জংশন স্টেশনে ওই ট্রেনের যাত্রা বিরতি বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ। ওই ট্রেন যাত্রাবিরতি বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম নেতা জার্জিস আলম রতন এবং শিক্ষক খায়রুল ইসলাম বলেন, কথিত বিরতিহীন ট্রেনটি ব্যাপক টিকেট চাহিদাসম্পন্ন ওই স্টেশনগুলোতে বিরতি না রাখা যে খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত তার প্রমাণ ইতোমধ্যে মিলেছে। সে কারণে অবিলম্বে ওই ৩ স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে লোকসানের বোঝা কমানোর জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
×