ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘অভিনয় শিল্পের সঙ্গে থাকতে চাই’

প্রকাশিত: ১৩:১৯, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

‘অভিনয় শিল্পের সঙ্গে থাকতে চাই’

নাট্য অভিনেতা হায়াতুজ্জামান খান। পেশায় একজন কর্পোরেট চাকরিজীবী হলেও মূলত অভিনয় শিল্পের প্রতি তার অগাধ ভালবাসা। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে থিয়েটার শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়মিত পথনাটক, মঞ্চনাটক করেছেন। ছাত্রজীবন থেকে অভিনয় শিল্পের প্রতি তার দায়বদ্ধতা তৈরি হয়। ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসী হায়াতুজ্জামান শিল্পের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেন। লেখাপড়া শেষে জীবিকার তাগিদে ঢাকা আসেন। চাকরি শুরু করেন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে। লেখাপড়া শেষে তার এই দ্রুত ঢাকায় আসার পেছনে বিশেষ কারণ ছিল, আর তা হলো অভিনয় শিল্পের সঙ্গে আরও নিবির ভাবে জড়িয়ে যাবার.. পরিবার এবং নিজের অন্ন-বস্ত্র সংস্থানের জন্য পেশাগত জীবন শুরু করলেও- হায়াতুজ্জামান খুঁজেছেন কোথায় গেলে নিজের মনের খোরক যোগানো যায়! প্রাচ্যনাটের ২১ মত ব্যাচে যুক্তহন এবং প্রখ্যাত নাট্যকার গিরিশ কারনাডের ‘রক্তকল্যাণ’ নাটকের মধ্যমে ঢাকার মঞ্চে হায়াতুজ্জামানের অভিষেক ঘটে। এরপর সময় মেনে নিয়মিত রিহার্সেলে উপস্থিত থাকা তার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। যে কারণে তাকে ছাড়তে হয় প্রাচ্যনাটের মতো প্রতিষ্ঠিত নাট্যসংগঠন। ভালবাসার দায়বদ্ধতা বলে কথা! তিনি হাল ছাড়লেন না। নিজের স্বপ্নকে খুঁজে বেড়িয়েছেন সবসময়। বছর ছয়েক আগে বেসরকারী একটি টিভি চ্যানেলে ‘নাট্যযুদ্ধ’ নামে ট্যালেন্টহান্ট প্রতিযোগিতায় অংশ নেন হায়াতুজ্জামান । প্রতিযোগিতায় গ্রুমিং’এর সময় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী চিত্রপরিচালক ওয়াহিদুউজ্জামান ডায়মন্ডের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। অল্প দিনের মধ্যে ডায়মন্ডের আলোচিত নাটক ‘জগতির এক রাত’এ তার অভিনয়ের সুযোগ হয়। কিছুদিনের মধ্যে ওই পরিচালকের ‘ শেষকথা’ নামের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর ঢাকা শহরের একজন সাদামাটা চাকরিজীবীর পরিচয়ের পাশাপাশি তার নামের সঙ্গে যোগহয় সুঅভিনয় শিল্পীর বিশেষণ। অতপর একে একে করেতে থাকেন দর্শক নন্দিত নাটক। হায়াতুজ্জামান অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটেকের মধ্যে ‘কমিউনিটি’ ‘সব মিথ্যা সত্য নয়’ ছোদের নাটক ‘ভূতের বাক্স’ এবং আই ফ্লিক্সের ‘ফেরার গান’ এছাড়াও অনেক মানসম্পন্ন টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে তাকে নিয়মিত দেখ যায়। হায়াতুজ্জামান তার পেশাগত জীবন এবং হৃদয়ের স্বপ্ন সম্পর্কে বলেন, আমি জীবনে একাধিক কাজে যুক্ত হয়েছি এর মধ্য থেকে অভিনয়ের প্রতি হৃদয়ের সমর্থন সবসময় পেয়ে এসেছি, সব সময় মনে হয়েছে এই কাজটাই আমি মন দিয়ে করতে পারবো। যে কারণে, জীবিকার প্রয়োজনে যাই করি না কেন অভিনয়ের প্রতি সম্মান এবং ভালবাসা গভীর থেকে অনুভব করি এবং শেষ পর্যন্ত এই শিল্পের পথে হেঁটে যেতে চাই। আনন্দকণ্ঠ প্রতিবেদক
×