ভূমি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি আগের চেয়ে অনেক কমেছে ॥ ভূমিমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে। তিনি বলেছেন, ডিজিটালাইজ ও অটোমেশন করলে দুর্নীতি আরও কমবে। তবে যেভাবে কমছে তাতে আমি সন্তুষ্ট নই। আমি বারবার বলছি এখানে চাই গুণগত পরিবর্তন। গুণগত পরিবর্তন আনার জন্য যা যা করার প্রয়োজন সবই করার চেষ্টা করছি। বুধবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সাক্ষাত শেষে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মানুষ কিছুটা হলেও এখন সেবা পাচ্ছে। এখন আমরা অনলাইন ডেটাবেজে সাড়ে তিন কোটি খতিয়ান আপলোড করেছি। সেবা পেতে মানুষকে আগের মতো এখন আর হয়রানি পোহাতে হয় না। ভূমি অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি নিয়ে টিআইবির একটা রিপোর্ট প্রকাশ বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, টিআইবির রিপোর্টটা আমার নজরে এসেছে। তাদের রিপোর্টের পুরোটা সমর্থন করতে পারছি না। তবে টিআইবির সব কথা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছি না। তারা যেসব সমস্যা তুলে ধরেছেন তার অনেকগুলো কিন্তু আমরা উন্নয়ন করেছি। এ উন্নয়নটা আমাদের অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, ভূমি অফিসে জটিলতা এবং সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। আগের চেয়ে বর্তমানে বেশ কিছু উন্নতি হয়েছে। টিআইবি যে রিপোর্টটা প্রকাশ করেছে সেটা কখনকার বেজ ধরে করে সেটা কিন্তু তারা উল্লেখ করেনি। টিআইবি ভূমি রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি উল্লেখ করেছে। রেজিস্ট্রেশন বিভাগের অংশটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে। দুঃখজনক বিষয়টি এখানে একটা ভুল ধারণা রয়েছে। এটা কিন্তু ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়, এটা হচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন। রেজিস্ট্রেশন বিভাগটা যেহেতু ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়, তাই আমি এখানে হাত দিতে পারছি না। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের ৫০ বছরের গোল্ডেন জুবিলীতে জয়েন্টলি প্রোগ্রাম করবে আমেরিকা। আমাদের আলোচনায় রোহিঙ্গার বিষয়টিও উঠে এসেছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমেরিকা কাজ করছে। এই ইস্যুতে অন্যান্য দেশও পাশে থাকবে। ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমার মন্ত্রণালয় নিয়ে কথা হয়েছে। এটা একটা কমপ্লেক্স মিনিস্ট্রি, আমিও বলেছি তারাও বলেছেন। ফিল্ড লেভেলে আমরা আরও রিফর্ম আনার চেষ্টা করছি সে কথাটাও তাদের জানিয়েছি। মানুষের সেবা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় ডিজিটাইজেশন এবং অটোমেশনের কথাও তাদের বলেছি।