ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কঙ্গনা দিলেন ৪২ লাখ, ডি’ক্যাপ্রিওর আঙুল অন্যদের দিকে

প্রকাশিত: ০০:১৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

কঙ্গনা দিলেন ৪২ লাখ, ডি’ক্যাপ্রিওর আঙুল অন্যদের দিকে

অনলাইন ডেস্ক ॥ কঙ্গনা রানাউত মানেই নিত্যনতুন খবর আর চমক। এবারও কঙ্গনা চমকে দিলেন তার দর্শক ভক্তদের নিজের দ্বায়িত্ববোধ তুলে ধরে। কুইনখ্যাত এই তারকা সম্প্রতি কাভেরী নদী বাঁচানোর একটি প্রচারণায় নিজেকে সংযুক্ত করেছেন। ইশা ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত হয়ে কাবেরী নদীর চারপাশে সংরক্ষিত বন গড়ে তুলতে সম্প্রতি তিনি দান করেছেন ৪২ লাখ রুপি। কাবেরী নদীর দুর্দশা বিবেচনা করে, পরিবেশ বাঁচাতে এবং আশপাশের মানুষের সহজাত জীবনযাপন ধরে রাখার জন্য এগিয়ে এসেছেন কঙ্গনা। নিজের অনুধাবন তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি অন্যদেরও মনোযোগ আকর্ষণ করেন। স্থানীয় একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কঙ্গনা উল্লেখ করেন, “অনেক দ্বায়িত্ববান মানুষই, বিশেষ করে বলিউডের এসব বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছেন। এমন কী চেন্নাইয়ের এই খরার সময়েও বলিউড তারকারা নির্বিকার আছেন। অথচ নাগরিক হিসেবে তাদের অবশ্যই দ্বায়িত্ব আছে এসব ব্যাপারে এগিয়ে আসার।” কঙ্গনা আরও বলেন, “নদী হলো আমাদের দেশের প্রাণ। সেই নদীর কিছু হলে দেশের মানুষ বাঁচবে কি করে? এমনকী হলিউডের তারকা লিওনার্দো ডি’ক্যাপ্রিও নিজেও বলিউড তারকাদের মৌনতা দেখে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আর আমরা চুপ করে আছি!” কঙ্গনা যে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজ করছেন, সেটি কাবেরী নদী বেল্টে ২৪২ কোটি বৃক্ষ রোপন করবে। কঙ্গনা বলেন, “বছরে মাত্র একবার সবাই যদি ৪২ রুপি করে দান করতে পারি, তাহলেই এই ফাউন্ডেশন বৃক্ষরোপনের কাজটা করে যেতে পারে। পরবর্তী প্রজন্মকে সবুজ পৃথিবী দেখাতে এতটুকু করা তো আমাদের কর্তব্য।” ডি’ক্যাপ্রিও গত বছর একটি আলাপে বলেন, “ভারতে আমার জানা মতে অনেক দ্বায়িত্বশীল ব্যক্তি আছেন যাদের আর্থিক ক্ষমতাও আছে। শুধু সোশাল মিডিয়ার আন্দোলন না চালিয়ে দেশের প্রয়োজনেও তাদের মাঠে নামার সময় এসেছে। অন্তত পরিবেশ বাঁচানোর আন্দোলনে। বলিউড তারকাদের নিজেদের দ্বায়িত্ব সম্বন্ধে আরও বেশি সচেতন হওয়ার সময় এসেছে।” কঙ্গনা রানাউতের মতো একই রকমের উদ্যোগে দক্ষিণ ভারতের কাজল আগারওয়াল এবং তামান্না ভাটিয়া নিজেদের সংযুক্ত করেছেন। উল্লেখ্য, কাবেরী নদীটির পানি বণ্টন নিয়ে কর্ণাটক ও তামিলনাড়ূ দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালালেও দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের দিকে খুব বেশি কেউ নজর দেয়নি। ফলে ক্রমেই নদীটি শুকিয়ে কৃষিকাজের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলছে। এলাকাজুড়ে হাহাকার এই কাবেরী নদী নিয়ে। কয়েক দশক ধরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বৃষ্টিপাতের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। এজন্যই এলাকাজুড়ে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে ইশা ফাউন্ডেশন।
×