ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সোনাকাটা ইকোপার্ক

বরাদ্দ না থাকায় ২ মাস খাবার সরবরাহ বন্ধ

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বরাদ্দ না থাকায় ২ মাস খাবার সরবরাহ বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ৯ সেপ্টেম্বর ॥ বরাদ্দ না থাকায় গত দুই মাস ধরে উপকূলীয় সোনাকাটা বনাঞ্চলের টেংরাগিরি ইকোপার্কের প্রাণীদের খাবার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। দ্রুত খাবার সরবরাহ না করলে প্রাণিকুল জীবন সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়বে বলে জানান স্থানীয়রা। পটুয়াখালী বন উপ-বিভাগীয় তালতলী রেঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩ হাজার ৬৩৪ একর জমির ওপর তালতলী উপকূলীয় সংরক্ষিত বনাঞ্চল অবস্থিত। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ওই বনাঞ্চলের সোনাকাটা টেংরাগিরি বিটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ইকোট্রারিজম নির্মাণ করে। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইকোট্রারিজমের উদ্বোধন করেন। ওই সময় ইকোট্রারিজমটিতে পাঁচটি কুমির, নয়টি হরিণ, ২৬ শূকর ও একটি মেছোবাঘ ছিল। খাবার সরবরাহ না থাকায় গত বছর শূকর, কচ্ছপ ও মেছোবাঘ বনে ছেড়ে দেয়া বন কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ইকোপার্কে পাঁচটি কুমির ও নয়টি হরিণ রয়েছে। বরাদ্দ না থাকায় এ বছর জুলাই ও আগস্ট থেকে কুমির আর হরিণের খাবার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। খাবার সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রাণিকুলের জীবন সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে স্থানীয় ও পর্যটকদের দেয়া খাবার খেয়ে বেঁচে আছে প্রাণীরা। কিন্তু চাহিদা মতো খাবার না পাওয়ায় প্রাণীরা দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে এমনটাই জানান স্থানীয় ও পর্যটকরা। পর্যটক নজরুল ইসলাম ও মাঈনুল ইসলাম বলেন, কুমিরকে খাবার দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে হুমহাম করে খেয়ে ফেলেছে। কত দিনের যেন উপবাস এ কুমিরগুলো? তিনটি কুমির খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে। তিনি আরও বলেন, কুমিরগুলো না খেয়ে শুকিয়ে গেছে। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আবদুস সালাম বলেন, প্রাণীরা ঠিকমতো খাবার পাচ্ছে না। স্থানীয় ও পর্যটকদের খাবার খেয়ে কোন মতে বেঁচে আছে। দ্রুত খাবার সরবরাহের দাবি জানাই। টেংরাগিরি (সকিনা) বিটের বিট কর্মকর্তা জাহিদ প্রামাণিক বলেন, প্রাণীদের জন্য খাদ্য সরবরাহের অর্থ বরাদ্দ নেই। জুলাই থেকে অদ্য (৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে খাবার সরবরাহ করছি। তিনি আরও বলেন, খাবার সরবরাহ না থাকায় শূকর, মেছোবাঘ ও কচ্ছপ ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তালতলী রেঞ্জ অফিসার নয়ন মিস্ত্রি বলেন, প্রতি অর্থবছরে খাবার সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়।
×