ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টঙ্গীতে আর.এফ.এল. কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় আটক ৩

প্রকাশিত: ০৮:৪৬, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

টঙ্গীতে আর.এফ.এল. কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় আটক ৩

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ টঙ্গীতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আরএফএল’র কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম (৩৫) খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১ এর সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু, অটোরিক্সা ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। সোমবার র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সারওয়ার-বিন-কাশেম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো লক্ষীপুর জেলা সদরের মান্দালী গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে আব্দুল হক রনি ওরফে বাবু (১৯), শরীয়তপুৃর জেলা সদরের শৈলপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে সুজন ওরফে শাহজালাল (২১) ও পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার ছনকানোয়া গ্রামের ফারুক হাওলাদারের ছেলে আউয়াল হাওলাদার (২৬)। তারা গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার হানিফ ও জলিল মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া। তাদের বিরুদ্ধে টঙ্গী থানায় মাদক ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাত আড়াইটার দিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন এরশাদ নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরএফএল’র কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম হত্যাকান্ডের মূল হোতা বাবু, শাহজালাল ও আউয়ালকে আটক করে র্যাব-১এর সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু, অটোরিক্সা ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। র্যাব’র ওই কর্মকর্তা আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আব্দুল হক ননি ওরফে বাবু ঢাকার আব্দুল্লাহপুর-বাড্ডা রুটের একটি পাবলিক বাসের চালক ও সুজন ওই বাসের কন্ডাক্টর। অপর আসামী আউয়াল হাওলাদার অটোরিক্সাচালক। তারা সংঘবদ্ধভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী পথচারী, রিক্সারোহীদের গতিবিধি অনুসরণ করে নিয়মিত ছিনতাই করে আসছিল। তারা আরএফএল’র কর্মকর্তা কামরুল ইসলামকে (৩৫) হত্যা করেছে বলে র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। জিএমপি’র টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কামাল হোসেন ও নিহতের ভাগ্নে বিপ্লব স্থানীয়দের জানান, অফিসিয়াল কাজে সিলেট থেকে বাসে চড়ে কামরুল ইসলাম (৩৫) গাজীপুরের টঙ্গী কলেজ গেট এলাকায় আসেন। শনিবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে বাস থেকে নামার পর ক’ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে। ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। এসময় ছিনতাইকারীরা তার বুকে ছুরিকাঘাত করে ল্যাপটপ, মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সকালে স্থানীয়রা সেখানে কামরুল ইসলামের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নওগাঁ সদর উপজেলার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে কামরুল ইসলাম আরএফএল’র সিলেটে আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হিসেবে কমর্রত ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবুল কালাম শনিবার রাতে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওসি কামাল হোসেন আরো জানান, আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
×