ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাণীনগরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দেয়া হলো ৮ম শ্রেণির ছাত্রির বাল্য বিয়ে

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রাণীনগরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দেয়া  হলো ৮ম শ্রেণির ছাত্রির বাল্য বিয়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করে ইতোমধ্যেই বাল্যবিয়ের অপরাধে বর-কনের অভিভাবকদের ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা দিয়ে চলেছেন। কিন্তু সেই উপজেলা পরিষদ চত্বরেই ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীর বিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ওই মেয়েটি নিজ পরিবারের কাছে ফিরে আসতে চাইলেও তাকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে বলে মেয়ের পরিবারের অভিযোগ। মেয়েটি উপজেলার চকাদিন গ্রামের প্রবাসী বাবু হোসেনের মেয়ে। মেয়েটি ত্রিমোহানী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে। বর্তমানে এই ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। মেয়ের মা লাকী বেগম বলেন, উপজেলার লোহাচুড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম (মোমিন) আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় হয়। তারই সূত্র ধরে মাঝে মধ্যে তার ছেলে দিপু আমাদের বাড়িতে আসতো। কিন্তু আমার মেয়ের সঙ্গে তার কোন প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। আমার মেয়েও এই বিষয়ে কখনো আমাকে কোন কিছুই বলেনি। সম্প্রতি অন্য স্থানে মেয়ের বিয়ের কথা চলছিল। এরমধ্যে গত ১৯ আগষ্ট স্কুল থেকে আসার সময় মেয়েকে ছেলে দিপু জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার দুই দিন পর ২১আগষ্ট উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের দিনেও আমার সঙ্গে আমার মেয়েকে কথা বলতে দেয়া হয়নি। এমন কি মেয়ের জন্মনিবন্ধনের কার্ড আমার কাছ থেকে নিয়ে ছিড়ে ফেলা হয়। বিয়ের একদিন পর মেয়ে ম্যাসেজের মাধ্যমে আমাকে জানায়, তাকে বিয়ে করার জন্য জোর করা ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। আমার মেয়ে এখন কোথায় আছে তাও আমাকে জানানো হয়নি। আমার মেয়ে বাড়ি ফিরতে চায়, পড়ালেখা করতে চায়। কিন্তু ছেলে দিপু তাকে ঢাকায় জোর করে আটকে রেখেছে। এতে করে আমার মেয়ে যে কোন সময় আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে। ছেলেরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা আইনের আশ্রয়ে যেতে পারছি না। আমি আমার মেয়েকে ফিরে পেতে চাই। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, এই ধরনের কোন ঘটনা আমার জানা নেই। আমাকে যদি ভুক্তভুগীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
×