ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শোকজের চিঠি প্রস্তুত, বাকি স্বাক্ষর

প্রকাশিত: ১০:৩৭, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 শোকজের চিঠি প্রস্তুত, বাকি স্বাক্ষর

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতাকারী নেতাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫০ নেতার জন্য আলাদা আলাদা শোকজ নোটিস তৈরি করা হয়েছে। শোকজ নোটিসের চিঠি ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর করলে যে কোন মুহূর্তে তা পাঠানো হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রবিবার থেকে শোকজ নোটিস পাঠানো শুরু হবে বলে শনিবার ঘোষণা দিয়েছিলেন। রবিবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদক চিঠিগুলোতে স্বাক্ষর শেষ করতে পারেননি বলে জানা গেছে। শুরু থেকেই বিদ্রোহী প্রার্থীরা অভিযোগ করে আসছেন, জেলা নেতৃবৃন্দ টাকার কাছে বিক্রি হয়ে ত্যাগী ও জনপ্রিয় প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠাননি। স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অজনপ্রিয় ও হাইব্রিড নেতাদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। তাই তারা বিদ্রোহী হয়েছেন। নির্বাচনের পর শতাধিক উপজেলায় নৌকার প্রার্থী পরাজিত হলে বিদ্রোহীদের এমন অভিযোগ আরও জোরালো হয়। বিদ্রোহী প্রার্থীরা বলছেন, তাদের প্রতি কোন ব্যবস্থা নেয়া হলে তা সঠিক হবে না। নানা লবিং ও গ্রুপিংয়ের কারণে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন তারা। দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণের জনপ্রিয়তা কার কতটুকু তা ওই নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে গেছে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন- ঢাকার পার্শ্ববর্তী এমন এক উপজেলার চেয়ারম্যান জানান, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি একটি পরিবারের হতে কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছিল। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। মানুষের চাওয়ার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রার্থী হয়েছিলাম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে কেন্দ্রে ভুল মেসেজ দিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। যা নির্বাচনে জয়লাভ করার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্র বলছে, সব অভিযোগের ব্যাপারে একই ধরনের শাস্তি প্রযোজ্য হবে না। তাদের ব্যাপারে ২/৩ ধরনের শাস্তি দেয়া হতে পারে। অভিযোগ ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত রিপোর্ট রয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে এসব রিপোর্টও পর্যালোচনা করা হবে। যারা নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেছে তাদের একটি অংশকে সরাসরি বহিষ্কার করা হতে পারে। মদদদাতাসহ যাদের অপরাধ তুলনামূলক কম তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তাছাড়া কোন এমপি-মন্ত্রী সরাসরি সংগঠনের বিরুদ্ধে গিয়ে কোন কাজ করার প্রমাণ পাওয়া গেলে ভবিষ্যতে তাদের আর মনোনয়ন দেয়া হবে না। পাশাপাশি দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়ার ক্ষেত্রেও বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে।
×