এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ স্বদেশে ফিরে না যেতে রোহিঙ্গাদের বেপরোয়া অবস্থানে উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের পাশে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৯১ সাল থেকে এই ক্যাম্পে অবস্থান করছে রোহিঙ্গারা। তাদের বিষয়ে আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা আছে। রোহিঙ্গাদের যেই বাসনে খাওয়ানো হয়, স্থান ত্যাগ করার সময় তারা ওই বাসনটি ফুটো করে দিয়ে যায়। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এনজিওদের প্রশ্রয় ও ইন্ধন পেয়ে রোহিঙ্গারা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা এখন মিয়ানমার নয়, প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বুঝতে পেরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। অপবাদ দিচ্ছে বাংলাদেশকে। বিদেশীদের ইন্ধনে তারা এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর দুঃসাহস দেখাচ্ছে। ক্যাম্প অভ্যন্তরে চলছে অস্ত্রের মহড়া। সন্ধ্যার পরপরই সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে কায়েম করে রামরাজত্ব। প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের গণকবর দেয়ার অথবা লাশ গুম করার হুমকি দেয়া হচ্ছে। চার রোহিঙ্গা জঙ্গী নাফ নদীতে বিজিপির গুলিতে নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ক্যাম্পে অবস্থানরত ওই সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের লাগাম টানতে যদি এখনই ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তবে একদিন নিশ্চিত এই অকৃতজ্ঞ রোহিঙ্গারা ভয়ঙ্কর হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। তাই টেকনাফ উখিয়ার ক্যাম্পগুলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে বুঝিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: