ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এরশাদের আসনে ছেলে সাদ জাপা প্রার্থী

প্রকাশিত: ১০:৩২, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 এরশাদের আসনে  ছেলে সাদ  জাপা প্রার্থী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে তার ছেলে রাহগীর আল মাহী সাদকেই দলীয় প্রার্থী করা হয়। দলের ঐক্য ঠিক রাখতে উভয় গ্রুপের নেতারাই তাকে প্রার্থী করতে সম্মত হওয়ায় দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা রবিবার সাদকে প্রার্থী করার কথা ঘোষণা করেন। রবিবার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ১৪ জ্যেষ্ঠ নেতাকে নিয়ে আলোচনা করে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের বলেন, রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাদ এরশাদ। এর আগে দলের চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদ নিয়ে রওশন এরশাদ এবং তার দেবর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। ফলে এরশাদের আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা আটকে যাওয়ার উপক্রম হয়। নানা নাটকীয়তার পর সাদকেই প্রার্থী করা হয়। উল্লেখ্য, এরশাদের স্ত্রী ও দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ আগে থেকেই এই আসনে ছেলে সাদকে প্রার্থী করতে চাইলেও তার বিরোধিতা করছিলেন রংপুরের নেতারা। এরশাদের ভাতিজা সাবেক সাংসদ হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফের সমর্থকরা সাদের দাহ করেন। এ নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে শুরু হয় দ্বিধাদ্বন্দ্ব। ৫ অক্টোবর রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন। আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী হিসেবে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক রেজাউল করিম রাজু এবং বিএনপি ২০ দলীয় জোটের শরিক দল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান রিটা রহমানকে প্রার্থী করেছে। এরশাদের আসনে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় ছিল তার ছেলে, ভাগ্নি, ভাতিজাসহ আরও ক’জন। এ নিয়ে সিনিয়র নেতারাও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। সাদকে বাবা এরশাদ রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে বিদেশে রাখলেও তাকে রাজনীতির ময়দানে নিয়ে আসতে সচেষ্ট ছিলেন মা রওশন এরশাদ। ২০০০ সালে নারীঘটিত এক ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন সাদ। এরপর তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন এরশাদ। এরশাদ অসুস্থ থাকার সময় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সাদকে দেখা যায় জনসম্মুখে। মা রওশনের সঙ্গে বিভিন্ন সভায় আসতে শুরু করেন তিনি। এরশাদের মৃত্যুর পর তিনি আরও সক্রিয় হন এবং রংপুর-৩ আসনে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
×