ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘পুতুলটিকে দেখে রেখো’ নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ১২:৩৮, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

‘পুতুলটিকে দেখে রেখো’ নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে আগামী ১০ সেপ্টেম্ব মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় মেঠোপথ থিয়েটারের তৃতীয় প্রযোজনা ‘পুতুলটিকে দেখে রেখো’ নাটকের দ্বিতীয় মঞ্চায়ন হবে। নাটকটি রচনা করেছেন আনিসুর রহমান। নির্দেশনার পাশাপাশি নাটকে একক অভিনয় করবেন মেঠোপথ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা শামীমা আক্তার মুক্তা। নাটকটি প্রসঙ্গে নির্দেশক ও অভিনেত্রী শামীমা আক্তার মুক্তা বলেন, আমাদের মেঠোপথ থিয়েটারের নতুন প্রযোজনা ‘পুতুলটিকে দেখে রেখো’ জঙ্গীবাদ বিরোধী নাটক। পৃথিবীর সকল মানুষের শান্তি কামনা করাই এই নাটকের মূল উদ্দেশ্য। নাটকে একজন শিশুর অবচেতন মনে উঠে আসবে পৃথিবীর সকল দেশের সকল মানুষের কষ্ট ও দুর্দশা। নাটকের নির্দেশক হিসেবে ডিজাইনে আমি সব কিছুকে শান্তির প্রতীকী রূপে শুভ্র দেখাতে চেয়েছি। জানি না কতটা সফল হতে পারব, বাকিটা দর্শকদের হাতে ছেড়ে দিলাম। কারণ দর্শকের মাঝেই আমি বাঁচি। শামীমা আক্তার মুক্তা আরও বলেন, নাট্যকার আনিসুর রহমান অত্যন্ত সুনিপুণভাবে ‘পুতুলটিকে দেখে রেখো’ নাটকে পৃথিবীর মানুষের শান্তি কামনা করেছেন। একজন শিশুর মুখ থেকে অজানা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন পৃথিবীর মানুষের উদ্দেশে যেটা আমার মনকে নাড়া দিয়েছে। যেমন ‘বাবা ওরা আমার পুতুলটির মাথায় গুলি করেছে ওরা বাচ্চাদের খেলনার কথাও বুঝতে পারে না, বড় হয়ে আমি মুসলিম হব, হিন্দু হব, খ্রীস্টান হব, বৌদ্ধ হব, কিন্তু যারা গুলি করে মানুষ মারে ওদের মতো দুষ্টু হব না। এই নাটকে যুদ্ধ, গোলাগুলি, জঙ্গীবাদ শিশুদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে তার একটি প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে। শিশুটি কখনও কখনও তারা হয়ে যেতে চায়। আবার কখনও মাছ হয়ে যেতে চায় আবার কখনও ব্যাঙ হতে চায়। কারণ মানুষের এত অসভ্য আচরণ সে গ্রহণ করতে পারে না। শিশু মনে যেমন শিশুতোষ ভাবনা তৈরি হয় সেই ভাবনায় বিচরণ করে সে রকেটে চড়ে আকাশে চলে যেতে চায়, সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে দেখা করার আকাক্সক্ষা প্রকাশ করে। সে তার বাবার সঙ্গে কথা বলতে থাকে। সে বুঝতেই পারে না যে, তার বাবাও গুলি খেয়ে আকাশের তারা হয়ে গেছে। শিশুটি শান্তি কামনা করে পৃথিবীর মানুষের প্রতি একটি আবেদন জানায়। শিশুটি বলে তোমরা আর মানুষ মেরে তারা বানিয়ে ফেল না, সবাই যদি আকাশের তারা হয়ে যায় তাহলে এখানকার বিড়ালগুলোকে দেখবে কে? কুকুরগুলোকে খাওয়াবে কে? বাগানে পানি দেবে কে? শিশুটি তার বাবাকে বলে- বাবা আমার পুতুলটিকে দেখে রেখ ওরা যেন আমার পুতুলটিকে মেরে না ফেলে। আমাদের নতুন প্রযোজনার মধ্য দিয়ে সুস্থ সুন্দর পৃথিবী গড়ার আহ্বান জানিয়েছি। নাটকের জন্য সেট ও লাইট ডিজাইন করছেন পলাশ হেনড্রি সেন। পোশাক পরিকল্পনায় মজুমদার ঝুমু, কোরিওগ্রাফি ফেরদৌস হাসান, প্রযোজনা সহকারী রিপন হাসান, শফিকুল ইসলাম ইমরান, এইচ কে শান্ত ও অনিক পাল, প্রযোজনা উপদেষ্টা আশিস গোস্বামী। সহযোগিতায় অধ্যাপক হারিসুল হক, মোশাররফ হোসেন টুটুল, ভারতের তরুণ চ্যাটার্জী, অনিয়মিত সাহিত্য সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, হিরন কিরন থিয়েটার।
×