ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শার্শায় গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার তদন্তে পিবিআই

প্রকাশিত: ১২:১২, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

শার্শায় গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার তদন্তে পিবিআই

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের আলোচিত গণধর্ষণ মামলার তদন্তভার পিবিআইকে দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পরই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন পিবিআই’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। শনিবার সকালে পিবিআই’র একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ভিকটিমের সাক্ষ্যগ্রহণ ও মামলার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। অবশ্য এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকেই পিবিআই ছায়া তদন্ত করে আসছিল। পিবিআই যশোরের পরিদর্শক মোনায়েম খান জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তারা আধুনিক প্রযুক্তিও ব্যবহার করছেন। তারা আশা করছেন, তদন্ত শেষে খুব দ্রুত এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রদান করতে পারবেন। ধর্ষণের ঘটনায় গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুল আলম সরাসরি জড়িত বলে ফের অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী ওই গৃহবধূ। তিনি জানান, খায়রুলকে তিনি ভালভাবেই চেনেন। এর আগে তার বাড়ি থেকে স্বামীকে আটকের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার টাকাও নিয়ে গেছেন ওই এসআই। গৃহবধূ আরও বলেছেন, আটক আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্টে খায়রুলের জড়িত থাকার অভিযোগের প্রমাণ মিলবে। তবে এসআই খায়রুল আলম দাবি করেন, ঘটনার রাতে তিনি ওই নারীর বাড়িতে যাননি। এক্ষেত্রে তিনি তার ডিএনএ পরীক্ষারও সুপারিশ করেন। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা শার্শা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ আল ফরিদ জানান, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য গত বৃহস্পতিবার রাতেই ঢাকায় সিআইডির পরীক্ষাগারে প্রয়োজনীয় আলামত পাঠানো হয়েছে। এ পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে তদন্তে আরও অগ্রগতি হবে। নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, ঘটনার তদন্তে নিরপেক্ষতাসহ সব ধরনের উপায় অবলম্বন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত ও সন্দেহভাজনদের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই সবকিছু বলা যাচ্ছে না। তবে যশোর পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের পর অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংসহ অন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এরই মধ্যে অপরাধ সংঘটনের সময় ওই বাড়িতে কোন নম্বরের ফোন ব্যবহারকারীরা ছিলেন তা চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
×