ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আতিয়া মহলে অভিযানে ৩ জঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

প্রকাশিত: ০৮:২৩, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আতিয়া মহলে অভিযানে ৩ জঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

অনলাইন রিপোর্টার ॥ সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় জঙ্গী আস্তানা আতিয়া মহলে কমান্ডো অভিযানের সময় আত্মাঘাতী বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন ‘নব্য জেএমবির’ তিন সমস্যের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেটের পিবিআই পরিদর্শক আবুল হোসেন শনিবার দুপুরে সিলেটের মহনগর হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযুক্ত তিনজন হলেন- বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছডি উপজেলার উত্তর বাইশারি যৌথ খামার এলাকার নূরুল আলমের ছেলে জহিরুল হক জসিম (২৬), তার স্ত্রী আর্জিনা ওরফে রাজিয়া (১৯) ও বাইশারি ঘোড়ামারা এলাকার নূর হোসেনের ছেলে মো. হাসান (২৫)। ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ ভোরে আতিয়া মহলে এই ‘জঙ্গী আস্তানার’ সন্ধান পায় আইন-শৃংখলা বাহিনী। এরপর চার দিন ওই বাড়ি ঘিরে চলে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দলের ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’। ২৮ মার্চ অভিযান শেষে ওই বাড়ির ভেতরে চারজনের লাশ পাওয়া যায়। ভবনটির বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বিস্ফোরক পাওয়ার থাকার কথা জানায় র্যাব। এ ঘটনায় এসআই সুহেল আহমদ মোগলাবাজার থানায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শেষ হওয়ার পর ভবনটিতে প্রচুর বিস্ফোরক থাকায় সে সময় আরেক অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ৯-এর অধিনায়ক আলী হায়দার আজাদ আহমদ জানান, পাঁচতলা ভবনের ২৮টি ইউনিটের সবগুলো কক্ষ পরীক্ষা করে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। “সেখান থেকে নয়টি বিস্ফোরক উদ্ধার করে র্যাব নিষ্ক্রিয় করে। তাছাড়া ভবনের নিচতলা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক বানানোর সরঞ্জাম ও বেশ কিছু রাসায়নিক পদার্থ ও ইলেকট্রনিক সার্কিট মেলে।” তিনি বলেন, “ভবনের নিচতলায় ছয়টি ইউনিটে জঙ্গীরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছিল বহু আইইডি। ফলে এ ইউনিটগুলোর সব আসবাবপত্র ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। “তবে বাকি চারটি ফ্লোরের সব ইউনিটের আসবাবপত্র যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় রেখেই অভিযান চালায় র্যাব।” ক্লিয়ারিং অপারেশন চ্যালেঞ্জিং ছিল উল্লেখ করে র্যাব অধিনায়ক বলেন, প্রচুর বিস্ফোরক থাকায় ভবনটি ঝুঁকিপুর্ণ ছিল। নিরাপত্তার স্বার্থে র্যাব বেশ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করে। তাই একটু সময় বেশি লাগে। এ অভিযান এক নারী ও তিন পুরুষ নিহত হন। ময়নাতদন্ত শেষে চারজনকে সিলেটের হযরত মানিকপীর গোরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।
×