ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অসমে তৈরি হচ্ছে বন্দী শিবির

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 অসমে তৈরি  হচ্ছে বন্দী  শিবির

চূড়ান্তভাবে যারা ভারতীয় নাগরিক বলে গণ্য হবেন না তাদের জন্য অসমের গোয়ালপাড়ায় প্রথম ‘এক্সক্লুসিভ ডিটেনশন সেন্টার’ নির্মাণ শুরু হয়েছে। এটি নির্মাণে খরচ পড়বে ৪৫ কোটি রুপী। ধারণক্ষমতা হবে ৩০০০ বন্দীর। অসমে এমন ১১টি বন্দীশিবির বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। নিউজ এইটটিন। বাকিগুলো নির্মাণ করা হবে বারপেটা, দিমা, হাসাও, কামরূপ, করিমগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, নগাঁও, নালবাড়ি, শিবসাগর ও সোনিতপুরে। সূত্রমতে, একেকটি বন্দীশিবিরের ধারণক্ষমতা হবে কমপক্ষে ১০০০। এসব বন্দীশিবির নির্মাণে মোট খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার কোটি রুপী। অসমে বর্তমানে ৩১টি জেলখানা আছে। এর ধারণক্ষমতা মোটামুটি ৯ হাজার। এসব জেলে অতিরিক্ত বন্দী রাখার জন্য সরকার জেলখানাকে সম্প্রসারণ করতে পারে। ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি থেকে যারা বাদ পড়েছেন তারা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন। এসব আবেদন যাচাই বাছাই করার জন্য রাজ্য সরকার অতিরিক্ত ২শ’ ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করছে। আরও ২শ’ এমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হবে আগামী তিন মাসের মধ্যে। এনআরসি থেকে যারা বাদ পড়েছেন তাদের ‘বিদেশী’ও বলা যাবে না, আবার তাদের গ্রেফতারও করা যাবে না- যতক্ষণ পর্যন্ত এ বিষয়ে আদালতে ফয়সালা না হয়। আদালত আরও নির্দেশ দেয় যে, সব বন্দীর বায়োমেট্রিক বিস্তারিত এবং ফটো ধারণ করতে হবে। তা জমা রাখতে হবে ডাটাবেজে। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের প্রতি সপ্তাহে অবশ্যই পুলিশে রিপোর্ট করতে হবে। এ পর্যন্ত ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল কমপক্ষে এক লাখ মানুষকে ‘বিদেশী’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের হিসাবে, কমপক্ষে ৯০০ ব্যক্তি এখন জেলে আছে। অন্যদের বেশির ভাগই রয়েছে পলাতক।
×