ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৩৭ বছর তিনি জিম্বাবুইয়ে শাসন করেন

শ্বেতাঙ্গবিরোধী রবার্ট মুগাবের জীবনাবসান

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 শ্বেতাঙ্গবিরোধী রবার্ট  মুগাবের জীবনাবসান

জিম্বাবুইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে আর নেই। সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। খবর বিবিসি ও সিএনএনের। রবার্ট গ্যাব্রিয়েল মুগাবে ১৯৮০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত জিম্বাবুইয়ে ক্ষমতার শীর্ষে ছিলেন। শ্বেতাঙ্গ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। ১৯৮০ সালে তিনি নির্বাচনে জিতে ক্ষমতাসীন হন। ১৯৮০ থেকে ৮৭ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ও ১৯৮৭ সাল থেকে রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী হিসেবে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালের ২১ নবেম্বর রবার্ট মুগাবে ৩৭ বছর শাসনের পরে প্রেসিডেন্ট এর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ১৯৬০-এর দশকে মুগাবে রাজনীতিতে আসেন। জিম্বাবুইয়ের আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়নের (জানু) মহাসচিব ছিলেন তিনি এবং তার দল সংখ্যালঘিষ্ঠ শ্বেতাঙ্গ শাসক আয়ান স্মিথের বিরুদ্ধে লড়েন। এর ফলে ১৯৬৪ থেকে ৭৪ সাল পর্যন্ত তাকে রোডেশিয়ার (জিম্বাবুইয়ের সাবেক নাম) কারাগারে বন্দী থাকতে হয়। এডগার তেকেরের সঙ্গে ১৯৭৫ সালে মুক্তি পেয়ে তিনি রোডেশিয়া ত্যাগ করেন। মোজাম্বিকে অবস্থান করে স্বাধীনতা সংগ্রাম বা রোডেশিয়ান বুশ ওয়ারে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে সমাপ্ত ওই যুদ্ধে মুগাবে অনেক আফ্রিকাবাসীর মন জয় করে বীরের মর্যাদায় অভিষিক্ত হন রবার্ট মুগাবে। ১৯৮০ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানরা ব্যাপক সংখ্যায় অংশগ্রহণ করে ও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এতে মুগাবে দেশটির ইতিহাসে ১ম প্রধানমন্ত্রীত্বে অভিষিক্ত হন। দেশ পুনর্গঠনে পূর্বে যুদ্ধরত দলসহ শ্বেতাঙ্গ রোডেশিয়ান এবং বিবদমান প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যমতে পৌঁছান। মুগাবের জন্ম রোডেশিয়ার উত্তর-পশ্চিমে হারারের জিম্বা জেলার কুতামা জেসুইত মিশনের কাছে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মালাউই পিতা গ্যাব্রিয়েল মাতিবিলি এবং শোনা অধিবাসী মাতা বোনা উভয়ই রোমান ক্যাথলিক ছিলেন। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। বড় দুই ভাই মাইকেল এবং দোনাতো দুজনই ছোটবেলায় মারা যান। বাবা গ্যাব্রিয়েল মাতিবিলি একজন কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। ১৯৩৪ সালে মাইকেলের মৃত্যুর পর মুগাবে পরিবার কাজের সন্ধানে বুলাওয়ে যান।
×