ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বদলির সুযোগ চান বেসরকারী এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

সরকারী হাইস্কুলে শান্তিপূর্ণ শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 সরকারী হাইস্কুলে শান্তিপূর্ণ শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোন ধরনের জটিলতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক হাজার ৩৭৫ পদের জন্য চাকরি প্রার্থী ছিলেন দুই লাখ ৩৫ হাজার ২৯৩ জন। স্বল্প সময়ের মধ্যে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার আশা প্রকাশ করেছেন পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারী কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। পরীক্ষা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট দূর হবে এবং মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করা যাবে। ঢাকা মহানগীর ১৭০ কেন্দ্রে একযোগে এ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গেছে, পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল কমিশন। পরীক্ষা চলার সময় হলের ভেতরে ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এজন্য নিয়োগ করা হয় ১৯০ ম্যাজিস্ট্রেট। দীর্ঘদিন সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় শিক্ষক সঙ্কটে পড়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। আবার রাজধানীসহ কোন কোন এলাকায় কিছু প্রতিষ্ঠানে পদের অতিরিক্ত শিক্ষক থাকলেও মফস্বলের স্কুলগুলোতে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই। অন্যদিকে আইসিটি বিষয়ে শিক্ষকের কোন পদই নেই। ফলে মানসম্মত শিক্ষা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বদলির সুযোগ চান বেসরকারী এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ॥ এমপিওভুক্ত হওয়ার পর এবার সরকারী শিক্ষকদের মতো বদলির সুযোগ চান বেসরকারী স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বদলি বাস্তবায়ন কমিটি’ আয়োজিত মানববন্ধনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এ দাবি তুলেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তারা। লক্ষ্মীপুরের একটি বেসরকারী কলেজের শিক্ষক সৈয়দ আজম বলেন, হয়ত অনেকেই জানেন না, দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রে বদলির ব্যবস্থা থাকলেও একমাত্র এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কোন বদলির ব্যবস্থা নেই। তাই আমরা বদলির দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি আরও বলেন, গত পাঁচ বছরে ধরে আমি চাকরি করছি। আমার বাবা-মা গ্রামে থাকেন। তারা অসুস্থ, বৃদ্ধ। আমি দূর থেকে তাদের আর্তচিৎকার উপলব্ধি করতে পারি। কিন্তু কিছুই করার থাকে না। এটা যে কত কষ্টের, যারা বাইরে আছেন, বিভিন্ন জেলায় চাকরি করছেন, তারাই বলতে পারবেন। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বিবিয়ানা মডেল কলেজে শিক্ষকতা করেন নীলফামারীর ডোমরা উপজেলার মোঃ ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে বদলির ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার কথা বলছে সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের এ লক্ষ্যে বিশেষ কোন পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। আমাদের দাবি, ২০২০ সালের মধ্যে এই আইন কার্যকর করুক সরকার। কিন্তু তার আগে আমাদের আশ^স্ত করতে এ লক্ষ্যে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
×