ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জুহায়ের জাওয়াদ খান

জাতীয় ডাকটিকেট প্রদর্শনীতে পুরস্কার জয়ী মীম

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 জাতীয় ডাকটিকেট প্রদর্শনীতে  পুরস্কার জয়ী মীম

জাতীয় ডাকটিকেট প্রদর্শনী বাংলাপেক্সের কথা মনে আছে? ২৭-২৯ জুলাই জাতীয় জাদুঘরে হয়েছিল ডাকটিকেটের এই মহা উৎসব। সেই প্রদর্শনীর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ৩০ আগস্ট, ঢাকার সেগুনবাগিচার বাগিচা রেস্টুরেন্টে। এ আয়োজনে প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া সকল অংশগ্রহণকারীকে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট দেয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা গ্রহণ করেন সম্মাননা। ১৯ বছরের নিচে যাদের বয়স, তাদের জন্য প্রদর্শনীতে ছিল একটি আলাদা ক্যাটাগরি। শিশু-কিশোর ও সদ্য কৈশোর পেরুনো তরুণদের এই বিভাগে অংশগ্রহণকারী সাতজনই জিতে নিয়েছে সিলভার এ্যাওয়ার্ড। এদের মধ্যে দু’জন আবার বিশেষ পুরস্কারও পেয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে সিলভার ও বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন মীম নোশিন নাওয়াল খান। এ বছর ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় সব বিষয়ে এ প্লাসসহ জিপিএ ফাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এ ছাড়াও সম্প্রতি সে আইইএলটিএস পরীক্ষায় ব্যান্ড ৮.০০ পেয়েছে। দৈনিক জনকণ্ঠের ঝিলিমিলিসহ অন্যান্য ফিচার পাতায় নিয়মিত লিখছে মীম। ঝিলিমিলিতে প্রকাশিত গল্পের জন্য মীম জিতে নেয় ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ডের প্রিন্ট মিডিয়া ক্রিয়েটিভ- অনুর্ধ্ব ১৮ বিভাগে প্রথম পুরস্কার। শিশু-কিশোরদের জন্য অনেকগুলো বইও লিখেছে মীম, যে বইগুলো তাকে খুদে পাঠকদের কাছে প্রিয় করে তুলেছে। এ ছাড়াও আবৃত্তি ও ফটোগ্রাফিতে স্কুল-কলেজ এবং জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পেয়েছে সে। গহনা তৈরি, বিভিন্ন উপহারসামগ্রী তৈরিসহ হাতের কাজের নানা দিকে পারদর্শী। ছয়বার মীনা এ্যাওয়ার্ডজয়ী এই গুণী মেয়েটি এবার নিজের আঙিনা ছাড়িয়ে সাফল্যের মুকুট পেয়েছে ফিলাটেলির জগতেও। মীমের কাছেই জানা যায় তার ডাকটিকেট জমানোর গল্প। লেখালেখির প্রতি ভালবাসা থেকেই কিনা কে জানে, ছোট থেকেই চিঠি লেখার খুব ঝোঁক ছিল মীমের। নিজের নামে আসা চিঠি দেখে আনন্দে আত্মহারা হতো। আর সেসব চিঠির খামের ওপরে লাগানো ডাকটিকেটগুলো বেশ সুন্দর লাগত। সে জন্যই যত্ন করে সেগুলো খাম থেকে তুলে জমিয়ে রাখত। এভাবেই শুরু মীমের ডাকটিকেট সংগ্রহ। বর্তমানে তার কাছে এক শ’র বেশি দেশের প্রায় পাঁচ হাজার ডাকটিকেট রয়েছে। মীম ভালবাসে প্রকৃতি, ফুল ও পশুপাখি বিষয়ক ডাকটিকেট জমাতে। এবারের প্রদর্শনীতে তার এক্সিবিটটি ছিল বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিষয়ে করা। মীমের মতে, ফিলাটেলি বা ডাকটিকেট সংগ্রহের শখ মানুষকে জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করে, সেই সঙ্গে নিজের দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করে। অবসরে ডাকটিকেট জমানো তাই তার ভীষণ প্রিয় শখ। আর সেই শখ যদি ঘরে এনে দেয় এমন জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার, তাহলে তো কথাই নেই! বন্ধুরা, তোমরাও কিন্তু চাইলে পড়াশোনার ফাঁকে অবসর সময়টা কাটাতে পারো ডাকটিকেটের সঙ্গে। ডাকটিকেটের জন্য ভালবাসা নিশ্চয়ই তোমাকেও এনে দেবে এমন অনেক অনেক প্রাপ্তি। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজ নবম শ্রেণী (ইংলিশ ভার্সন)
×