ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কেশবপুরে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করার ঘোষনা দিয়েছে প্রশাসন

প্রকাশিত: ০১:৩৪, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

কেশবপুরে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করার ঘোষনা দিয়েছে প্রশাসন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ অবশেষে প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে যৌথভাবে বন্ধ করা হলো কেশবপুরের ইজিবাইক, ভ্যান, করিমন, নসিমনসহ সকল ধরনের যানবাহনের মালিকদের নিকট থেকে চাঁদাবাজি। এখন থেকে আর কোন প্রকার চাঁদাবাজি করতে দেয়া হবে না। রবিরার রাতে কেশবপুরের সাংসদ ইসমাত আরা সাদেককে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানূর রহমান এবং থানার ওসি মোঃ শাহীন যৌথভাবে এ কথা জানান। এ সময় এম পি ইসমাত আরা সাদেক তাদের বলেন, কোন প্রকার চাঁদাবাজি হোক তা আমি চাই না। আপনাদের কঠোরভাবে সকল চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। কেশবপুরের বিভিন্ন রোডে এক শ্রেণীর চাঁদাবাজরা দীর্ঘদিন ধরে ইজিবাইক মালিকদের কাছ থেকে মাসে দুই হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছিল। কোন নতুন ইজিবাইক চালানো জন্য ৪/৫ হাজার টাকা দিয়ে অনুমতি নিতে হয়। বিভিন্ন সড়কে এক শ্রেনীর চাঁদাবাজরা উক্ত হারে চাঁদার টাকা আদায় করে আসছে। শনিবার কেশবপুর-বেলতলা সড়কের ইজিবাইক মালিকরা চাঁদাবাজি বন্ধ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে চিহিৃত চাঁদাবাজদের নামে লিখিত অভিযোগ করে। বেলতলা সড়কের ইজিবাইক মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ জানান, পৌর মেয়র, থানার ওসি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসের নাম করে তাদের কাছ থেকে ভোগতির গ্রামের ডালিম, ফিরোজ ও লিটন জোরপূর্বক মাসিক ২ হাজার করে টাকা আদায় করে। টাকা দিতে না পারলে তাদের মারপিট ও নানা রকম হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়া ফাড়ির পুলিশে রাতে ডিউটি করতে প্রতিরাতে একটি করে ইজিবাইক ফ্রি দিতে হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানূর রহমান জানান, তাদের অভিযোগ পেয়ে থানার ওসিকে ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলা হয়। বরিবার দু'জন চাঁদাবাজকে ডেকে চাঁদাবাজি করবে না মর্মে মোচেলকাও নেওয়া হয়েছে। সকল ইজিবাইক, ভ্যান, নসিমন মালিকদের চাঁদা না দিতে বলে দেওয়া হয়েছে। যারা এই চাঁদা আদায় করে আসছে তাদের চাঁদাবাজি করতে নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ চাঁদা নেয় তাহলে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে এই চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
×