ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশকে ১৫ লাখ লোক ফেরত নিতে বলবে অসম ॥ বিজেপি নেতা

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশকে ১৫ লাখ লোক ফেরত নিতে বলবে অসম ॥ বিজেপি নেতা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ অসমের নাগরিকপঞ্জি বাংলাদেশে কোন প্রভাব ফেলবে না বলে ভারতের কথায় মন্ত্রীরা আশ্বস্ত হলেও রাজ্যটির অর্থমন্ত্রী জ্যেষ্ঠ বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষের মধ্যে ১৪-১৫ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত নিতে বাংলাদেশ সরকারকে বলবেন তারা। অসমের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পরদিন রবিবার ভারতের গণমাধ্যম নিউজ-১৮কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ তথ্য জানান বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সম্বয়ক শর্মা। খবর বিডি নিউজের। শর্মা বলেন, ‘জাল দলিল প্রতিরোধে’ নাগরিকদের তালিকা হালনাগাদের এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে ততদিন, যতদিন অসমের একজন আদিবাসীও তাদের আবাস খুঁজে না পাবে। ১৯৭১ সালের পরে যারা শরণার্থী হিসেবে এসেছে, তারা সমস্যার সম্মুখীন হবেন। আমরা তাদের প্রতি সহমর্মী। কিন্তু তালিকার মধ্যে অনেকে আছেন, যারা নাগরিক নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছেন এবং আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। এজন্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর অন্তত ২০ শতাংশ এবং বাকি অসমের ১০ শতাংশ নাগরিককে পুনঃযাচাইয়ের অনুমতি দিতে সুপ্রীমকোর্টের কাছে দাবি জানান অসমের অর্থমন্ত্রী। শর্মা বলেন, আমরা কিছু অবৈধ অভিবাসী পেয়েছি এবং আমরা এ অনুসন্ধান চালাতে থাকব। অসমের প্রত্যেকটি আদিবাসী তাদের জায়গা খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চলবে। আমরা ১৪ থেকে ১৫ লাখ বিদেশী শনাক্ত করেছি... এটা প্রমাণিত হয়েছে। মমতা ব্যানার্জী যাই বলুক না কেন তা আমরা আমলে নিচ্ছি না। কারণ অবৈধ বিদেশীরা তার ভোট ব্যাংক। রায় চার বছর ধরে যাচাই-বাছাইয়ের পর অসম সরকার শনিবার সকালে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স-এনআরসির (নাগরিকপঞ্জি) চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন জায়গা পেয়েছেন, বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্য অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে এখনই কোন মন্তব্য করতে না চাইলেও ভারতের সরকারী বক্তব্য অনুযায়ী বিষয়টিকে ‘অভ্যন্তরীণ’ আখ্যা দিয়ে আশ্বস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন সরকারের দুজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। রবিবার ঢাকা ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভারত অঙ্গীকার করেছে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এটা কোনভাবে বাংলাদেশকে এ্যাফেক্ট করে না। বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গীকার বিশ্বাস করতে চায়। আমরা এখন শুধুই পর্যবেক্ষণ করছি।’
×