ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী

খালেদার আমলে দেশ জঙ্গী অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

খালেদার আমলে দেশ জঙ্গী অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির ৪২ বছরে পদার্পণ করায় বিএনপিকে অভিনন্দন জানালেও গত ৪১ বছরের পথচলায় দলটি ক্ষমতা দখল করেছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সে সময় দলটি দেশকে সুশাসন দিতে পারেনি। খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন শুধু দুর্নীতি, দুঃশাসন নয় দেশ জঙ্গীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী। আগামীতে বিএনপি ইতিবাচক রাজনীতি করবে- এ আশাবাদ ব্যক্ত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আশা করছি যে, বিএনপি জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ পরিহার করে সাধারণ মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করবে। রবিবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর দফতরে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির জন্মটাই হয়েছে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানের হাতে। অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখল করে তারা। বিএনপির বেশির ভাগ বড় বড় নেতা অন্যদল থেকে দলছুট হয়ে বিএনপিতে গেছেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে, উচ্ছিষ্ট নেতাদের নিয়ে গঠিত দল বিএনপি। এই বিএনপির নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখল করেন এবং তার সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া ১০ বছরের শাসনামলে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। মন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল হিসেবেও বিগত ১০ বছর ধরে বিএনপি জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদের ভিত্তিতে তাদের রাজনীতি করেছে এবং এখনও তা অব্যাহত রয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি প্রকাশ্য দিবালোকে জনসভায় হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এসএম কিবরিয়া ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ্ মাস্টার এমপিকে হত্যা করে। ড. হাছান বলেন, বিএনপি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগকে জনসভা করার অনুমতি দেয়নি। তারা গ্রেনেড হামলা করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ২০ আগস্ট মাঝরাতে আওয়ামী লীগকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জনসভা করার অনুমোদন দেয়। তিনি বলেন, বিএনপি যখনই চেয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় তাদেরকে মিছিল ও সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। আগামীতে বিএনপি ইতিবাচক রাজনীতি করবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি। এছাড়াও সাম্প্রতিক সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনায় কৃষ্ণা রায়ের পা হারানো সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক ও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে এবং এ বিষয়ে সরকার কাজ করছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে বাংলাদেশে কিছু চালক, আমি সব চালককে বলব না, যেভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, এটি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমি মনে করি সবারই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। চালক ছাড়া অন্য কাউকে স্টিয়ারিংয়ে বসার সুযোগ যেন না দেয়া হয়, সেজন্য বাস-ট্রাক মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতি অনুরোধ রাখেন মন্ত্রী। আইএস সম্পর্কিত অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে আইএস’-এর কোন অস্তিত্ব নেই। কিন্তু জঙ্গীবাদিরা তাদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। আমি আশা করি, বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো তাদের আশ্রয় দেবে না। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে দেশে কোন সময় একটি গাড়ির চাকা বাস্ট হলেও আইএস দাবি করে বসে। সেটা এখন সন্দেহ হয়। এই যে আইএস দাবি করা এটা কিভাবে কারা করে এটা আমার জানা নেই। আইএসের কোন অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই। অবশ্যই জঙ্গীরা আগস্ট মাস এলেই সক্রিয় হয় বাংলাদেশে। আমরা জঙ্গী অবদমন করতে পেরেছি। তবে জঙ্গী পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। আমরা পুরোপুরি নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। গুজব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, সময় সময় গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করা সরকারকে দোষারোপ করার পরিকল্পনার অংশ। আমাদের গুজব প্রতিরোধ সেল আছে। গুজব ছড়ানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গুজব ছড়ানোদের বিরুদ্ধে লেখা হলে গুজব কিছুটা কমে আসবে। তবে সরকার এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
×