ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আজ চট্টগ্রাম যাচ্ছেন সাকিবরা

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আজ চট্টগ্রাম যাচ্ছেন সাকিবরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কন্ডিশনিং ক্যাম্প, স্কিল টেনিং, এমনকি নিজেদের মধ্যে হওয়া দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচও শেষ হয়ে গেছে। এখন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া একমাত্র টেস্টটিতে খেলতে নামার পালা। এ জন্য আজ বিকেলে চট্টগ্রামে যাচ্ছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ টেস্ট দল। চট্টগ্রামে সোম, মঙ্গল ও বুধবার প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। যে টেস্ট দলে সাকিব ছাড়াও সৌম্য সরকার, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহীম, লিটন কুমার দাস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ রাহী, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন রয়েছেন। দেশের মাটিতে ৯ মাস পর টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। গত বছর নবেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। আর দেশের বাইরে এ বছর মার্চে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। তাতে করে পাঁচ মাস পর টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এ টেস্টের আগে প্রস্তুতিও কঠোর হয়েছে। নতুন প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো, পেস বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের তত্ত্বাবধানে কঠোর অনুশীলন হয়েছে। শেষে চট্টগ্রাম যাওয়ার আগে দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচও হয়েছে। যেখানে প্রাথমিক দলে থাকা ক্রিকেটাররা লাল ও সবুজ দলে ভাগ হয়ে খেলেছে। প্রস্তুতি ম্যাচটিতে ব্যাট-বল হাতে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ নজর কাড়তে পেরেছেন। শুক্রবার প্রথমদিন মাহমুদুল্লাহ ১০৭ রানের ইনিংস উপহার দেন। লাল দলের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫০ রানের উর্ধে করেন, সেটি আবার সেঞ্চুরিও হয়। মাহমুদুল্লাহর এ ইনিংসে ২৬৮ রানও করে লাল দল। দ্বিতীয়দিন মাহমুদুল্লাহ বল হাতে ৭.৩ ওভার বোলিং করে ৪ মেডেনসহ মাত্র ৪ রান দিয়ে আবার ৩ উইকেটও শিকার করেন। সবুজ দলের মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতই (৫১) শুধু হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। সৈকতের এ ইনিংসে যদি টেস্টের একাদশে সুযোগ মিলে, তাহলে ১৬ মাস পর টেস্ট খেলার সুযোগ পাবেন। প্রথমদিন তাসকিন আহমেদ ৪ উইকেট নিয়েছেন। তাতে তাসকিন যে টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছে দুই বছর পর টেস্টে খেলার আশায় আছেন, তার যথার্থই প্রমাণ মিলল। তবে মাহমুদুল্লাহর ফর্মে ফেরাই বিশেষ স্বস্তি হয়ে এসেছে। স্বস্তি মিলেছে আরেকটি জায়গায়। পেসাররা যে নখদন্তহীন হয়ে পড়েছেন তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে আশা জাগছে। বিশ্বকাপ থেকে বল হাতে নিতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ। ঠিকমতো বোলিং করতে পারেননি। এবার আফগানদের বিরুদ্ধে টেস্টে বোলিং করতে পারবেন। দীর্ঘদিন ধরে যে বড় ইনিংস নেই মাহমুদুল্লাহর তা এবার আফগানদের বিরুদ্ধে দেখা যেতে পারে। দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচটিতে কেমন করেন টেস্ট দলের ক্রিকেটাররা সেদিকেই নজর ছিল। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ, তাসকিন, মোসাদ্দেক, ৩ উইকেট নেয়া আবু জায়েদ রাহী ও এবাদত হোসেন ছাড়া আর কেউই বিশেষ নজর কাড়তে পারেননি। লাল দলের মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, এমনকি নজরকাড়া পারফর্মেন্সে বিশ্বকাপ কাঁপিয়ে দেয়া সাকিবও ব্যাট হাতে অনুজ্জ্বল থাকেন। সবুজ দলের ওপেনার সাদমান ইসলাম, সৌম্য সরকার তো রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়ে যান। মুমিনুল হক (৩৫) হাল ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। মুশফিকুর রহীমের ব্যাট থেকে ৬ রানের বেশি আসেনি। ১২৫ রানেই অলআউট হয়েছে সবুজ দল। প্রস্তুতি ম্যাচে পেসাররা যে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তাতে টেস্টে কী একাদশে বেশি পেসার দেখা যাবে? পেস বোলিং কোচ ল্যাঙ্গাভেল্ট অবশ্য তাই চান। তবে কন্ডিশনকেও তিনি বিবেচনায় আনতে চান। বলেছেন, ‘আপনি জানেন আমি একজন ফাস্ট বোলার এবং আমি দলে সবসময়ই বেশি পেসার চাই। কিন্তু কিছুদিন আপনাকে অবশ্যই কন্ডিশন বুঝতে হবে এবং কন্ডিশন অনুসারেই আপনাকে খেলতে হবে। অধিনায়ক অনুভব করেন যে কয়েকজন সিমার খেলাবেন সেটা পুরোপুরি সাকিবের ব্যাপার।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি এখানে এসেছি এ কন্ডিশনে সিমারদের বোলিং করা কঠিন জেনেও খেলাতে। আমাদের পেসাররা এখানে বোলিং করতে গিয়ে সংগ্রাম করে। সর্বশেষবার যখন এখানে আমরা এসেছিলাম তখনই সেটা দেখেছি। এটা অধিনায়কের ওপর নির্ভর করবে। যদি অধিনায়ক মনে করে একজন পেসার খেলাতে চায় তাহলে আমার কাজ তাকে প্রস্তুত করা। যদি সেটা ঘটেই তবে নিশ্চিত করতে হবে তারা খেলতে প্রস্তুত আছে।’
×