ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উৎপাদন দ্বিগুণ করতে চায় চিনিকল কর্পোরেশন

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

উৎপাদন দ্বিগুণ করতে চায় চিনিকল কর্পোরেশন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সংস্কার কিংবা বিনিয়োগ না করেই এক বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণ চিনি উৎপাদন করতে চায় খাদ্য ও চিনিকল করপোরেশন। শিল্প সচিব জানিয়েছেন, এ খাতের অব্যবস্থাপনা এবং অনিয়মের ক্ষেত্রগুলো পুরোপুরি চিহ্নিত করতে পেরেছে সরকার। যা সমাধান করা গেলেই আসবে পরিবর্তন। যদিও জনগণের করের টাকা দিয়ে সরকারী কারখানাগুলোকে আর বাঁচিয়ে রাখার পক্ষে নন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। জোড়াতালি দেয়া যন্ত্রপাতি আর কাঁচামাল সঙ্কটে ভুগতে থাকা রাষ্ট্রীয় মালিকানার চিনিকল কেরু এ্যান্ড কোম্পানির বয়স পেরিয়েছে সত্তর। তাই ক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদনের দেখা নেই দীর্ঘ সময় ধরে। সবশেষ মাড়াই মৌসুমে প্রতিষ্ঠানটি চিনি উৎপাদন করে ৪ হাজার ১শ টন। অথচ আসছে মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্য বাড়ানো হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। যা প্রায় আট হাজার টনের বেশি। একই রকম লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে উৎপাদনের হিসেবে সবচেয়ে বড় কল নর্থবেঙ্গল সুগার মিলে। ১৩ হাজার থেকে ধরা হয়েছে ২৫ হাজার টনের ওপরে। সব মিলিয়ে ১৫ কলে নতুন মৌসুমে খাদ্য ও চিনি কর্পোরেশন চিনি উৎপাদন করতে চায় এক লাখ ২৫ হাজার টন। গত বছর যা ছিল ৬৯ হাজারের নিচে। কিন্তু কিভাবে সম্ভব এই অর্জন? কর্পোরেশনের হিসেবে, মোট উৎপাদন ক্ষমতা দুই লাখ ১০ হাজার টন। যা পুরোপুরি অর্জন করতে পারলে নিজের আয় দিয়েই নিজস্ব খরচ মেটাতে পারে কলগুলো। কিন্তু বাস্তবতা হলো ২০১০ সালের পর একবার মাত্র ছুঁতে পেরেছে এক লাখ টনের ঘর। তাই বেতন ভাতাসহ সার্বিক খরচ মেটাতে প্রতি বছরই বাজেট থেকে দিতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের ভর্তুকি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গত পাঁচ বছরে খাদ্য ও চিনি কর্পোরেশন ভর্তুকি বাবদ নিয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি।
×