ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটেনজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ

চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে একাট্টা বিরোধীরা

প্রকাশিত: ০৯:১২, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে একাট্টা বিরোধীরা

কোন চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে বের হওয়ার আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবি করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শনিবার ব্রিটেনজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিরোধী পক্ষ। বিক্ষোভ -সমাবেশের এই আহবানটি ঠিক তখনই করা হলো যখন রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহে বরিস জনসনের বিরোধী পক্ষ আদালতের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে প্রস্তুত। এএফপি। বিক্ষোভের আয়োজকরা জানান, বিক্ষোভ মাবেশে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেয়। সমাবেশে বিক্ষাভকারীদের স্লোগান ছিল, ‘স্টপ দ্য ক্যু’ অর্থাৎ অভ্যুত্থান বন্ধ কর। প্রচার দলের অন্যতম সদস্য মাইকেল চেসাম বলেন, বিক্ষোভের মাধ্যমে সরকারকে তার সিদ্ধান্ত পরবর্তনে বাধ্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির ঘনিষ্ঠ জোট বাম ঘরানার দল মোমেনটাম তাদের সমর্থকদের দেশের প্রতিটি সেতু ও সড়ক অবরোধের আহবান জানিয়েছে। শনিবার লন্ডন সময় বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রীট অফিসের বাইরে মূল বিক্ষোভ মিছিলটি অবস্থান নেয় এবং দেশটির অন্তত ৩০টি শহরেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। মাত্র এক মাস আগে ক্ষমতার মসনদে বসা বরিস জনসন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে, ব্রাসেলসের সঙ্গে চুক্তি করে হোক বা চুক্তি ছাড়াই হোক আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনকে বের হতে তিনি নেতৃত্ব দিবেন। বরিস জনসন বলেছেন, ব্রিটেনর জন্য তিনি চুক্তি করতে প্রস্তুত আছেন। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা জানিয়েছেন, তারা লন্ডনের কাছ থেকে কংক্রিট প্রস্তাবের জন্য অপেক্ষা করছেন। এদিকে আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিটবিষয়ক উপদেষ্টা ডেভিড ফ্রোস্ট পুনরায় ব্রাসেলসে গিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া বেশ কিছু বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর নিজের দল কনজার্ভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা চান, প্রধানমন্ত্রী যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি করতে ব্যর্থ হয় তাহলেই বেক্সিট কার্যকর হোক। এদিকে সরকারও চুক্তি ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হতে তোড়জোড় শুরু করেছে। এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রেক্সিটের আগে পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবি রাখার পদক্ষেপ নেয়ার পর পার্লামেন্ট সদস্য এবং চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিরোধিতাকারীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পুরো যুক্তরাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ দেখা দেয়। পরে আদালতের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বিরোধীপক্ষ। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরজুড়ে পাঁচ সপ্তাহের এ মুলতবি সত্ত্বেও ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্কের সময় পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে সরকার। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, এমপিদের চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট আটকানো বন্ধ করতেই ‘অগণতান্ত্রিক’ এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জনসন পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবি করার জন্য রানীর কাছে আবেদন করার পর গত বুধবার রানিী তা অনুমোদন করেছেন। বিরোধী লেবার দলীয় নেতা জেরেমি করবিন এ সিদ্ধান্তকে ‘আমাদের গণতন্ত্রের ওপর ধাক্কা’ বলে বর্ণনা করেছেন।
×