ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শাহরিয়ার কবির

কাশ্মীর কোন্ পথে

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

কাশ্মীর কোন্ পথে

॥ ষোলো ॥ শ্রীনগরে জিহাদ সম্পর্কে আমার প্রশ্নের জবাবেও আলী শাহ গিলানী নিরুত্তর ছিলেন। নাসিম বেগম তার সম্পর্কে অতিরঞ্জিত কিছু বলেননি। কাশ্মীরের এসব হুরিয়াত নেতাদের সম্পর্কে ইন্টারনেটে দেখুন। গিলানীর জ্যেষ্ঠ পুত্র নঈম ও পুত্রবধূ দুজনই ডাক্তার, থাকে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। দ্বিতীয় পুত্র জহুর দিল্লী থাকে। নাতি কাজ করে ভারতের এক বেসরকারী বিমান সংস্থায়। তার অন্যান্য নাতি-নাতনিরা ভারতের নামী-দামী স্কুলে পড়ে। কন্যা থাকে সপরিবারে সৌদি আরবে। চাচাত ভাই গোলাম নবী থাকে লন্ডনে। ২০১৫ সালে গিলানী সৌদি আরবে মেয়েকে দেখার জন্য পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। আবেদনপত্র অসম্পূর্ণ থাকায় তাকে পাসপোর্ট দেয়া হয়নি। তিনি জাতীয়তার জায়গায় কিছুই লেখেননি। পরে জাতীয়তা ভারতীয় লিখে ৯ মাসের জন্য পাসপোর্ট পেয়েছিলেন। গিলানী সবসময় বলেন, জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদি তার আদর্শ পুরুষ। একাধিক জনসভায় গিলানী ঘোষণা করেছেনÑ ‘আমরা পাকিস্তানী, পাকিস্তান আমাদের।’ যতবার গিলানী এ কথা বলেছেন ততবার তার ভারতীয় পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর হুরিয়াত কনফারেন্সের প্রধান আলী শাহ গিলানী অত্যন্ত বিমর্ষ ছিলেন। দিল্লী থেকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আবদুল বাসিত সদলবলে শ্রীনগর গিয়ে আলী শাহ গিলানীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, দিল্লীতে যত সরকার বদল হোক না কেন কাশ্মীর সম্পর্কে পাকিস্তানের অবস্থান শুরুতে যা ছিল তা অব্যাহত রয়েছে এবং এর কোনো নড়চড় হবে না। এই প্রতিশ্রুতি লাভের পর গিলানী হুরিয়াত কনফারেন্সকে আরও কঠোর অবস্থানে নিয়ে গেছেন। গিলানীর মতো হুরিয়াত কনফারেন্সের আরেক কট্টর পাকিস্তানপন্থী মৌলবাদী নেত্রী হচ্ছেন ‘দুখতারান-এ মিল্লাত’-এর প্রধান আসিয়া আন্দ্রাবি। তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য, আত্মীয়-স্বজন থাকেন পাকিস্তান, সৌদি আরর, ইংল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায়। তার ভাইপো জুলকারনাইন পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন। আরেক ভাইপো ইরতিয়াজুন নবী ইসলামাবাদের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষক। আসিয়ার পুত্র মোহাম্মদ বিন কাশেম ও কন্যা থাকে মালয়েশিয়ায়। আসিয়া নিজেকে ইসলামিক নারীবাদী বলতে পছন্দ করেন। দাবি করেন তার দলই হচ্ছে কাশ্মীরের প্রথম জিহাদী সংগঠন, যা প্রথমে গোপন থাকলেও প্রকাশ্যে এসেছে ১৯৮৭ সালে। প্রথম সমাবেশেই তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য জিহাদের ডাক দিয়েছিলেন। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার দলকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও ‘অল পার্টি হুরিয়াত কনফারেন্সে’ এখনও তিনি দুখতারান-ই মিল্লাত-এর প্রধান হিসেবে নেতৃত্বে রয়েছেন। তাকে বলা হয় কাশ্মীরে জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাসের গডমাদার। গত শতাব্দীর আশির দশকে কাশ্মীরে শরিয়া আদালত প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা ছিল আসিয়া আন্দ্রাবির। তার মতো হুরিয়াতের অধিকাংশ নেতার পুত্র-কন্যারা থাকে পাকিস্তানে ও সৌদি আরবে এবং মালয়েশিয়ায়। কেউ কাশ্মীরে মাদ্রাসায় পড়েনি, তথাকথিত জিহাদেও শরিক হয়নি। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আরএসএস ও করসেবকদের কারণে ধর্মনিরপেক্ষকতার ভাবমূর্তি কখনও মলিন হলেও ভারতের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং গণমাধ্যম যথেষ্ট শক্তিশালী। গিলানী পাকিস্তানের আইএসআইয়ের কাছ থেকে নিয়মিত ভাতা পান বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের অন্যতম নেতা শেখ আবদুল্লাহর দ্বিতীয় পুত্র শেখ মুস্তফা কামাল। বলেছেন গিলানী সবকিছু করেন পাকিস্তানের নির্দেশে। সেই গিলানীকে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব ভারত সরকারেরÑ স্বয়ং গিলানী আমাকে বলেছেন। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডার জেনারেল কিষেণ পাল আমাকে বলেছেন জঙ্গী মৌলবাদী দলগুলোর নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও তাদের অন্যতম দায়িত্ব। পাঠকদের স্মরণ থাকতে পারে ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে বোমা হামলার মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন কাশ্মীরের মোহাম্মদ আফজাল। কারগিল যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পাকিস্তান কীভাবে ভারতীয় জঙ্গীদের ব্যবহার করেছে এ নিয়ে সেখানকার গণমাধ্যমে তখন বহু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বেরিয়েছিল। এই হামলায় ‘লশকরে তৈয়বা’ ও ‘জইশে মোহাম্মদ’-এর পাঁচ জঙ্গীসহ ১৪ জন নিহত এবং অর্ধ শতাধিক নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছিল। বিশেষ আদালতে হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘জইশে মোহাম্মদ’-এর যে চারজনকে আসামি হিসেবে দাঁড়াতে হয়েছিল তারা হলেনÑ মোহাম্মদ আফজাল গুরু, আফজালের চাচাত ভাই শওকত হোসেন গুরু, সৈয়দ আবদুর রহমান গিলানী ও শওকতের স্ত্রী আফসান গুরু। বিশেষ আদালতে ৬ মাসের ভেতর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছিল। রায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে শওকতের স্ত্রীকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। হাইকোর্টে আফজালদের আপিল শুনানিতে তাদের পক্ষে দাঁড়াবার মতো কোন আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছিল না। আফজালের পরিবার শরণাপন্ন হয়েছিল আরেক কাশ্মীরী মানবাধিকার নেত্রী নন্দিতা হাকসারের। নন্দিতার পিতা ছিলেন পিএন হাকসার, যিনি ১৯৭১-এ প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মুখ্যসচিব ও উপদেষ্টা ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য পিএন হাকসারকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করেছে। তার সম্পর্কে আমি অনেক লিখেছি। আফজাল সন্ত্রাসী জেনেও নন্দিতা, যে নিজে একজন আইনজীবী ও লেখক, আফজালের পক্ষে আদালতে দাঁড়িয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত একা মামলা লড়েছেন। সুপ্রীমকোর্ট আফজালের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে নন্দিতা এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে আফজালের প্রাণভিক্ষা চেয়ে অত্যন্ত মর্মস্পর্শী এক চিঠি লিখেছিলেন। নন্দিতা বয়সে কিছু ছোট হলেও আফজালের মামলার সুবাদে ও আমার বন্ধু হয়ে গিয়েছিল। এই মামলার বিবরণ এবং কাশ্মীর ও ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নন্দিতা একটি অসাধারণ বই লিখেছিলÑ ‘ফ্রেমিং গিলানী, হ্যাঙ্গিং আফজাল : প্যাট্রিয়টিজম ইন দ্য টাইম অব টেরর’ নামে। দক্ষিণ-পূর্ব ভারতে সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে নন্দিতা দুটো বই লিখেছে। নন্দিতার কাছে আমি জানতে চেয়েছিলাম, আফজাল লশকরে তৈয়বার নেতা এবং হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও দেশব্যাপী প্রবল জনমতের বিরুদ্ধে কেন ও দাঁড়িয়েছিল। নন্দিতা বলেছে, এই দেশটা ভারতবর্ষ, বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র বলে আমরা অহঙ্কার করি। আফজাল যত বড় সন্ত্রাসী হোক আত্মপক্ষ সমর্থনের ষোলোআনা অধিকার ওর আছে। এমনিতে এই মামলা নিয়ে আগেই মিডিয়া ট্রায়াল হয়ে গিয়েছিল। প্রবল জনমতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এই মামলা লড়ার জন্য কোন আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছিল না। যারা এসবের তোয়াক্কা করেন না, সে সব আইনজীবীর ফি দেয়ার সামর্থ্য আফজালের পরিবারের ছিল না। কাশ্মীরী মুসলিম হলেই সে পাকিস্তানের এজেন্ট এবং সন্ত্রাসীÑ এ রকম একটা ধারণা হিন্দু মৌলবাদী সংগঠনগুলো আগে থেকেই তৈরি করেছিল। সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত প্রতিকূল জেনেও আমি আফজালের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলামÑ ও যাতে ন্যায়বিচার পায়, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার ভাবমূর্তি যাতে মলিন না হয়। নন্দিতার মতো বুকার পুরস্কারবিজয়ী লেখক ও মানবাধিকার কর্মী অরুন্ধতি রায়ও আফজালের মৃত্যুদণ্ডকে প্রহসন বলেছিলেন। অন্যদিকে মৃত্যুদণ্ড কেন কার্যকর হচ্ছে না এ নিয়ে সরকারী দল কংগ্রেস ও বিরোধীদল বিজেপির সমর্থকরা এবং গণমাধ্যমের নীতি নির্ধারকরা সবাই একজোট ছিলেন। ২০১১ সালের ৭ ডিসেম্বর আফজালের মৃত্যুদণ্ড প্রদানের জন্য হরকতুল জিহাদ আল ইসলাম দিল্লী হাইকোর্টের সামনে শক্তিশালী বোমা হামলা করে, যাতে ১১ জন নিহত এবং ৭৬ জন আহত হয়। হামলার পর হরকতুল জিহাদ তাদের বিবৃতিতে বলেছে, অবিলম্বে আফজালের মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহার না করলে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্ট এবং সুপ্রীমকোর্টে এ ধরনের বোমা হামলা করবে। কাশ্মীরের মুফতি মেহবুবার পিডিপির অবস্থান ছিল আফজালের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে। মেহবুবা রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লাহ এই মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে হলেও তার পিতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লাহ বলেছেন সুপ্রীমকোর্টের রায়ের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করা ঠিক হবে না। রাম জেঠমালানীর মতো জাদরেল আইনজীবীও মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়ে বলেছেন, রাষ্ট্রপতি তখনই কোন প্রাণদণ্ড বাতিল বা ক্ষমা করতে পারেন যদি তিনি মনে করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আবেদনকারী ন্যায়বিচার পায়নি। আফজালের মামলার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি ভিন্ন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তা খারাপ উদাহরণ হবে। অন্যদিকে কাশ্মীরে অল পার্টি হুরিয়াত কনফারেন্স এমনকি পাকিস্তান সরকারও খোলাখুলি আফজালের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল। মামলা চলাকালে আফজালের পরিবারেরও দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল নন্দিতা। আফজালের ছেলেমেয়েকে সে দিল্লীতে ইংরেজী স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিল। নিয়মিত আফজালের স্ত্রীর খোঁজ-খবর নিয়েছে। কাগজে লিখে আফজালের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। অথচ জামায়াতে ইসলামী ও হুরিয়াতের নেতারা নন্দিতার এই মানবিক আচরণকে সন্দেহের চোখে দেখেছে। যে সব কাশ্মীরী ভারতের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তারা সবাই জামায়াতি ও জঙ্গীদের দৃষ্টিতে বিশ্বাসঘাতক। নন্দিতার পিতাও একই কারণে তাদের বিবেচনায় বিশ্বাসঘাতক ছিলেন। এমনকি ফারুখ আবদুল্লাহ ও তার পিতা কাশ্মীরীদের মুক্তিদাতা শেখ আবদুল্লাহও তাদের বয়ানে বিশ্বাসঘাতক। আফজালের ছেলেমেয়েকে নন্দিতা কেন ইংরেজী স্কুলে ভর্তি করাল এ নিয়েও জামায়াতিরা ওর সমালোচনা করেছে। বলেছে নন্দিতা ওদের ইসলামী শিক্ষা এবং জিহাদী জজবা থেকে দূরে সরিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। নন্দিতার বাড়ির সামনে দুবার বোমা ফাটানো হয়েছে। একবার করেছে হিন্দু মৌলবাদীরা, আরেকবার করেছে মুসলিম মৌলবাদীরা। শেষবার নন্দিতার সঙ্গে কথা হয়েছে ২০১৫ সালে। ও দুঃখ করে বলছিল, জামায়াতিদের চাপের কারণে আফজালের স্ত্রী ওর ছেলেমেয়েকে দিল্লীর স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে কাশ্মীরের গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। সেবার নন্দিতা অনেকটা স্বগতোক্তির মতো বলেছিল, শাহরিয়ার, আফজালের পক্ষে দাঁড়িয়ে আমি কি ভুল করেছি? প্রথমবার যখন ওর বাড়িতে হিন্দু মৌলবাদীরা বোমা ফাটিয়েছিল নন্দিতা স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিল। ওর মনে হয়েছে আফজাল কাশ্মীরী মুসলমান এবং জইশে মোহাম্মদের সমর্থক হওয়ার কারণে এই হামলা হয়েছে। ওকে বেশি ব্যথিত করেছে জামায়াতি জঙ্গীদের বোমা হামলা। নন্দিতাকে আমি বলতে পারতাম, জামায়াতকে বিশ্বাস করে তুমি ঠিক করনি। আফজালের পক্ষে তোমার দাঁড়ানোকে তারা কাশ্মীরের বিরুদ্ধে ভারতের অন্যরকম ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে। জামায়াতিদের এই চরিত্র আমরা জানি। নন্দিতাকে এসব কথা বলিনি। বললে ওর মানবতাবোধ প্রশ্নবিদ্ধ হতো। (ক্রমশ.)
×