ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার জালিয়াতি ॥ ৩২ কর্মকর্তা ও ১৪ আমদানিকারক জড়িত

প্রকাশিত: ০৯:৫৭, ৩১ আগস্ট ২০১৯

 চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার  জালিয়াতি ॥ ৩২ কর্মকর্তা ও ১৪ আমদানিকারক জড়িত

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম বন্দরে ২৭ কন্টেনার পণ্য জালিয়াতির চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ৩২ কর্মকর্তা, ১৪ আমদানিকারক জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্তে উঠে এসেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে লক করা ২২ চালানের ২৭ কন্টেনার পণ্য জালিয়াতির এ ঘটনায় রাজস্ব বোর্ড, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) এবং চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পক্ষে আলাদা আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত চলছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। উল্লেখ করা যেতে পারে, চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে একটি দুষ্ট চক্রের আমদানি করা ২২ চালানের ২৭ কন্টেনার পণ্য খালাস না দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। আমদানির এ পণ্য ছিল ঘোষণাবহির্ভূত। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের পক্ষে এ ২৭ কন্টেনার পণ্যের শতভাগ কায়িক পরীক্ষাও হয়। পরীক্ষার পর এসব পণ্য খালাস যাতে দেয়া না হয় সে জন্য রাজস্ব বোর্ডের সার্ভার লক করে দেয়া হয়। এ ধরনের জরুরী সিদ্ধান্তের পরও এসব পণ্য খালাস হয়ে যায়। ইতোমধ্যে তদন্তে উঠেছে এসেছে, পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে রাজস্ব বোর্ডের এ্যাসাইকুড়া সফটওয়্যার সিস্টেম ব্যবহার করে দুর্নীতিবাজ চক্র। পণ্য খালাসে নেয়া হয় চরম জালিয়াতির। অবসরে যাওয়া রাজস্ব কর্মকর্তার ইউজার আইডি ব্যবহার করে এসব পণ্য খালাস করে নেয় জালিয়াত চক্র। তদন্তে এ ঘটনার সঙ্গে কাস্টম হাউসের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৫ কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে। এছাড়া তাদের সঙ্গে জড়িত ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের ১৭ কর্মকর্তা কর্মচারী।
×