ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত শুরু হয়নি

প্রকাশিত: ০৯:৫৭, ৩১ আগস্ট ২০১৯

 বগুড়ায় বন্যায়  ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক  মেরামত শুরু  হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বন্যায় বগুড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পথঘাট মেরামত ও সংস্কার কাজ এখনও শুরু হয়নি। জেলা প্রশাসন এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, বন্যা পরবর্তী ধকল কাটিয়ে উঠে পুনর্বাসন ও সংস্কার কাজের প্রস্তুতি নিয়ে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। কিছু কাজ শুরু হয়েছে। বন্যায় চার উপজেলার ৩৮০ কিলোমিটার গ্রামীণ কাঁচা ও পাকা সড়কের ক্ষতি হয়েছে। গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় যানবাহন চলাচল এখনও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। এবারের বন্যা বেশি আঘাত করে ৫ উপজেলায়। শেষের বেলায় উজানি ঢল ভাটির দিকে যাওয়ার সময় শাজাহানপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের সড়ক ভেঙ্গে দেয়। সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, ধুনট ও শাজাহানপুর উপজেলার ২৮৫ কিলোমিটার কাঁচা ও ৯৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক ভেঙ্গে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নিচু এলাকার অনেক সড়ক জলাবদ্ধ হয়ে আছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) জানিয়েছে উল্লেখিত চার উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক ছাড়াও সদরের অনেক রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। সোনাতলা উপজেলার একটি পৌরসভা এবং সাতটি ইউনিয়নের ৩৮ কিলোমিটার সড়কের প্রায় পুরোটাই স্রোতের তীব্র ধাক্কায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কিছু গর্ত ছোট ডোবার মতো। এই পথে যান চলাচল এখনও পুনর্স্থাপিত হয়নি। সারিয়াকান্দি উপজেলা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী জানান, ২৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ঢলের পানির তীব্র আঘাতে নষ্ট হয়ে গেছে। ব্রিজ-কালভার্ট উপড়ে গেছে পাঁচটি। উপজেলার অনেক এলাকার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই। কোন স্থানে সড়ক নষ্ট থাকায় এখনও বাহন নৌকা। গাবতলী উপজেলার এলজিইডি সহকারী প্রকৌশলী জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর দেখা গেল ৩৬ কিলোমিটার পাকা সড়কের বেহাল অবস্থা। বাকি উপজেলাগুলোর একই চিত্র। এলজিইডি বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, বন্যায় স্রোতের তোড়ে ৯৫ কিলোমিটারের বেশি পাকা সড়কের ক্ষতি হয়েছে। মেরামত ও সংস্কার করে যোগাযোগ উপযোগী করে তুলতে প্রকল্প পরিকল্পনা তৈরি করে ওপর মহলে অর্থ চাহিদাপত্র জমা দেয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গেই দ্রুত মেরামত ও সংস্কার করে যোগাযোগ পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।
×