ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শীতের সবজিতে ভরে গেছে বাজার

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ৩১ আগস্ট ২০১৯

 শীতের সবজিতে ভরে গেছে বাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শীতের আগাম সবজিতে ভরে উঠছে বাজার। ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, লাউ, মুলা শাক, টমেটো ও ডাটা কি নেই রাজধানী ঢাকার কাঁচা বাজারে! তবে দাম বেশি হওয়ায় এসব সবজি সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। জাত ও মানভেদে প্রতি কেজি শিম ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি মিলছে ৫০-৬০ টাকায়। একটি লাউয়ের জন্য খুচরা ক্রেতাকে ৭০-৮০ টাকা গুনতে হচ্ছে। শীতের সবজির পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন সব ধরনের সবজি রয়েছে বাজারে। তবে কোন সবজির দামই কমছে না। সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন বাজারে বেশকিছু নতুন সবজি এসেছে। এসব সবজির বেশির ভাই শীতকালে চাষাবাদ হয়ে থাকে। কিন্তু উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ও আগাম চাষাবাদের কারণে আগেভাগে শীতের সবজি বাজারে উঠছে। শুধু তাই নয়, সারাবছর এখন সব ধরনের সবজির চাষাবাদ হয়ে থাকে। তবে শীতের সবজি শীতকালেই ভাল সাইজ ও আকারের হয়ে থাকে। এছাড়া ওই সময় সবজির স্বাদ হয় সুস্বাদু। এখন যেসব নতুন সবজি বাজারে উঠছে এগুলো আকারে ছোট কিন্তু দাম বেশি। দাম বেশি হলেও এসব সবজির চাহিদা রয়েছে। আর এ কারণে বেশি দামের আশায় কৃষকরা আগাম সবজির চাষাবাদ করে থাকেন। এর ফলে কিছু পয়সা তারা পান। এ প্রসঙ্গে কাওরানবাজারের সবজি বিক্রেতা মোঃ জসিম জনকণ্ঠকে বলেন, শীতের সবজি বাজারে আসা শুরু হয়েছে। তবে ক্রেতাদের কাছে এসব সবজির চাহিদা থাকলেও জোগানের ঘাটতি রয়েছে। আর এ কারণে সবজির দাম বেশি। তিনি বলেন, শীতকালীন সবজি এখন আর দু’মাসরে মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সারাবছর পাওয়া যায়। তবে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেশি থাকে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে এসে অনেকেই শীতের সবজি কিনেছেন। কাওরানবাজারের সবজি ক্রেতা নাদিম মাহমুদ বলেন, তরতাজা শীতের সবজি পেয়ে তিনি খুশি। তবে এসব সবজি কম দামে বিক্রি হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। এদিকে, শুক্রবার রাজধানীর বাজারে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল ও আটা বিক্রি হয়েছে আগের দামে। তবে বেড়েছে চিনির দাম। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে এই চিনি ৫৫-৫৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম কমেছে রসুন, ডাল, আদা ও ব্রয়লার মুরগির। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১২০-১২৫, আদা ১৩০-১৮০, ডাল নেপালী ১১০-১৩০, রসুন ১৫০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া পেঁয়াজ আগের মতো ৪৮-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরু চাল নাজির ও মিনিকেট ৪৮-৫২, চাল মাঝারি পাইজাম, লতা ৪৪-৫০ এবং মোটা স্বর্ণা ও চায়না ইরি ৩৪-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। দেশীয় জাতীয় মাছ আগের মতো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে সাগর ও নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় তার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর খুচরা বাজারে। প্রতি এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকায়। ৭০০-৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ৫০০-৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বাড়ায় ইলিশের দাম এখন কম। আগামী এক মাস পর্যন্ত পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। এছাড়া দেশী জাতীয় রুই মাছ ৩৫০-৪০০, চিংড়ি ৮০০-১২০০ ও সরপুটি ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
×