ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চেক জালিয়াতির অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতার, জেলে

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ৩১ আগস্ট ২০১৯

 চেক জালিয়াতির অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতার,  জেলে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি চেক জালিয়াতি করে ৩৫ লাখ টাকা তোলার চেষ্টার অভিযোগে রাজধানীতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। এরা হচ্ছেন, ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে কর্মরত ইন্সপেক্টর মীর আবুল কালাম আজাদ (৫৪) ও এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান (৩৮)। আজাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেলপাড়ায় ও মুস্তাফিজের বাড়ি টাঙ্গাইল সদরের বায়োটায়। ডিএমপি’র রমনা থানার ওসি মাইনুল ইসলাম জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের করা মামলায় বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি চেক জালিয়াতি করে সোনালী ব্যাংকের কাকরাইল শাখায় টাকা তুলতে গিয়েছিলেন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু স্বাক্ষরের নমুনা দেখে সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি জানানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে। নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম চেক নম্বর মিলিয়ে জালিয়াতির বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চেক জালিয়াতি ও নকল স্বাক্ষরের বিষয়ে অবহিত করা হয়। এই ঘটনায়, নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং ৩৩) দায়ের করেছেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, দুই আসামি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে একটি চেক (ক-৭৮৬৮২৯৩) সংগ্রহের পর স্বাক্ষর জাল করে ৩৫ লাখ তোলার জন্য ২৪ জুলাই সোনালী ব্যাংকের কাকরাইল শাখায় জমা দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২৮ জুলাই ফোন করে ওই চেকের স্বাক্ষরের সঙ্গে ব্যাংকের কাছে সংরক্ষিত নমুনা স্বাক্ষরের মিল না থাকার কথা মামলার বাদী শফিকুলকে জানানো হয়। তিনি কাকরাইল শাখার ব্যবস্থাপককে ফোন করে চেকটির ‘ক্লিয়ারেন্স’ না দিতে অনুরোধ করেন। সেই সঙ্গে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জালিয়াতির বিষয়টি জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের কাকরাইল শাখা বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়। মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, মীর আবুল কালাম আজাদ ও মোস্তাফিজুর রহমান জালিয়াতির আশ্রয় ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে। বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে উর্ধতন কর্মকর্তা ও ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ওই দুই পুলিশ সদস্যকে আটকের পর বুধবার তাদের রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। ঢাকা রেঞ্জের এক উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। অভিযোগ সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×