ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হামলায় আহত পুরো পরিবার॥ দশ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ

প্রকাশিত: ০৯:২০, ৩১ আগস্ট ২০১৯

 হামলায় আহত পুরো পরিবার॥ দশ দিনেও  মামলা নেয়নি পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ গোদাগাড়ীতে প্রতিবেশীর হামলায় একটি পরিবারের সবাই আহত হয়েছেন। কিন্তু এই ঘটনায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। ভুক্তভোগী পরিবার বলছে, স্থানীয়ভাবেই বিষয়টির আপোস-মীমাংসা করতে বলেছেন গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম। এ কারণে ঘটনার ১০ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ। হামলায় আহত পরিবারটির বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা গ্রামে। আহতরা হলেন, এই গ্রামের বাসিন্দা একরামুল হক, তার ছেলে খাইরুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম, মোঃ নয়ন, পিয়ারুল ইসলাম এবং নয়নের স্ত্রী রুবিনা খাতুন। ভুক্তভোগী পরিবারটির অভিযোগ, গত ২০ আগস্ট দুপুরে প্রতিবেশী সাদিকুল ইসলামের পরিবার তাদের বাড়িতে আকস্মিক হামলা চালায়। এ হামলায় সাদিকুল ছাড়াও তার স্ত্রী সুমি খাতুন এবং ছেলে সজিব ও রায়হান জড়িত। তারা একরামুলের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুরের পাশাপাশি ধারাল অস্ত্র ও লাঠিশোটার আঘাতে ছয়জনকে আহত করে। তবে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রায়হান আলী বলেন, সেদিন দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তারাও আমাদের মারধর করে, আমরাও করি। তবে তারা বেশি আহত হননি। তবে রায়হানদের হামলায় একরামুলের মাথা কেটে যায়। খাইরুল, মাজহারুল, নয়ন ও পিয়ারুলের হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম হয়। কানের মাংস ছিঁড়ে খুলে নেয়া হয় রুবিনা খাতুনের দুল। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর তারা কিছুটা সুস্থ হন। হামলার শিকার খাইরুল ইসলাম জানান, সজিব তার সঙ্গে ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ঠিকাদার সজিবের কাজের ৫০০ টাকা দেয়নি। কিন্তু ঈদে বাড়ি আসার পর থেকেই সজিব এই টাকা তার কাছে দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু ঠিকাদার টাকা না দেয়ায় খাইরুল দিতে পারেননি। এর জের ধরে বাড়িতে হামলা চালানো হয় এবং তাদের আহত করা হয়। খাইরুল জানান, এই ঘটনার পর তারা থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম তাদের বিষয়টি স্থানীয়ভাবেই আপোস-মীমাংসা করে নিতে বলেছেন। খাইরুলের অভিযোগ, ঘুষ দিয়ে হামলাকারীরা পুলিশকে ম্যানেজ করে ফেলেছেন। তবে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ রকম কোন ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগ পেলেই মামলা নেব।
×