ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চতুর্থবার দরপত্র আহ্বান

ইজারাদার সঙ্কটে দৃষ্টিনন্দন মহামায়া লেক

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ৩১ আগস্ট ২০১৯

 ইজারাদার সঙ্কটে দৃষ্টিনন্দন মহামায়া লেক

নিজস্ব সংবাদদাতা, মীরসরাই, চট্টগ্রাম, ৩০ আগস্ট ॥ একবার দুইবার নয় চারবার দরপত্র আহ্বান করেও পাওয়া যাচ্ছে না মীরসরাইয়ের মহামায়া ইকো পার্কের ইজারাদার। গত ৭ আগস্ট চতুর্থ বারের মতো দরপত্র আহ্বান করা হয়। দৃষ্টিনন্দন মহামায়া ইকো পার্ক দৃষ্টি কাড়তে পারছে না কোন ইজারাদারের। উপায় না পেয়ে পার্কটি গত দেড় মাস ধরে মীরসরাই বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে দেয়া হয়েছে। তবে কেন এমন হলো? যে পার্কটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভ্যাটসহ এক কোটি দুই লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ টাকায় ইজারা দেয়া হয়। সেটি কেন এখন কোন প্রতিষ্ঠান ইজারা নিতে চাচ্ছে না? অথচ দিন দিন মহামায়া ইকো পার্কের পর্যটক সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে সম্ভাবনা। জানা গেছে, স্থানীয় একটি অসাধু সিন্ডিকেট চাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন এই পার্কটি ইজারা না হোক। যাতে করে ওরা মাছ ও কাঠ লুটসহ বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে লুটেপুটে খেতে পারে। আবার অনেকে বলছে গত ইজারাদার চট্টগ্রামের ক্রিয়েটিভ ট্যুরস এ্যান্ড ট্রাভেলস তাদের ইজারার টাকা তুলতে পারেনি। ফলে চলতি বছর ইজারাদাররা আগ্রহ প্রকাশ করছেন না। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ জুন চট্টগ্রামের ক্রিয়েটিভ ট্যুরস এ্যান্ড ট্রাভেলসের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর গত ২৯ মে, ১২ জুন ২৮ জুলাই ও সর্বশেষ ৭ আগস্ট পার্কটি ইজারার দেয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। তিন বারে গত বছরের তুলনায় কম দাম উঠায় পার্কটি ইজারা দেয়নি বন বিভাগ। তবে চতুর্থবারের দরপত্র এখনও খোলা হয়নি। বন বিভাগ আরও জানায়, বন বিভাগের ১৯ দশমিক ৭৮ একর জায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রকল্প হাতে নেয়। ২০০৯-১০ অর্থবছরে ওই প্রকল্পের আওতায় স্লুইসগেট ও বাঁধ নির্মাণ করা হয়। যাতে করে পাহাড়ী ঢলের পানি সংরক্ষণ করে শুষ্ক মৌসুমে কৃষি কাজে ব্যবহার করা যায়। বাঁধ দেয়ার ফলে সৃষ্টি হয় ১১ বর্গ কিলোমিটারের একটি কৃত্রিম লেক। ওই লেকে ছাড়া হয় মাছের পোনা। পরবর্তীতে ওই লেকের সঙ্গে আরও ১ হাজার ২০০ হেক্টর জায়গাজুড়ে দিয়ে মহামায়া ইকো পার্ক নামে একটি বাণিজ্যিক বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলে বন বিভাগ। ২০১৩ সালে প্রথম বারের মতো পার্কটি ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ইজারা দেয়া হয়। সর্বশেষ গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভ্যাটসহ এক কোটি দুই লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ টাকায় পার্কটি ইজারা নেয় চট্টগ্রামের ক্রিয়েটিভ ট্যুরস এ্যান্ড ট্রাভেলস। এদিকে বন বিভাগ পার্কটির দায়িত্ব নেয়ার পর গত দেড় মাসে প্রায় ৩ লাখ টাকা রাজস্ব খাতে জমা করেছে বলে দাবি করেন মীরসরাই রেঞ্জের বন কর্মকর্তা গাজী হাফিজুর রহমান। তিনি জানান, বন বিভাগের সঙ্গে স্থানীয়দের কোন সিন্ডিকেট নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বন বিভাগ দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে লেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। ইজারার বিষয়টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দেখভাল করেন।
×